শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধরা পড়লেন মায়ানমারের তিন বাসিন্দা। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে ধরা পড়লেন মায়ানমারের তিন বাসিন্দা। শুক্রবার রাতেই তাঁদের আটক করেন শিয়ালদহ স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানেরা। পরে তাঁদের শিয়ালদহ জিআরপি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দেশে আসার কোনও বৈধ নথি তাঁরা দেখাতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা তিন জনেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা। মায়ানমারের এই প্রদেশটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত। সে ক্ষেত্রে শিয়ালদহ স্টেশনে ধৃতেরাও রোহিঙ্গা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রেল পুলিশ সূত্রে খবর।
শুক্রবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশনে তিন জনের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকদের। তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর না মেলায় টিকিট পরীক্ষকেরা ওই তিন জনকে শিয়ালদহ স্টেশনে থাকা আরপিএফ জওয়ানদের হাতে তুলে দেন। সেখানেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। পরে তাঁদের চেপে ধরতেই জানা যায়, তিন জনেই মায়ানমারের বাসিন্দা। ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি তাঁদের কাছে ছিল না। সেই কারণে তিন জনকেই আটক করে শিয়ালদহ জিআরপি থানায় পাঠিয়ে দেন আরপিএফ জওয়ানেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও বৈধ নথি ছাড়াই মায়ানমারের ওই তিন বাসিন্দা ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের কথা ভাবছে পুলিশ। শিয়ালদহ জিআরপি থানার আইসি বাসুদেব মল্লিক জানিয়েছেন, আরপিএফের তরফে ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
বস্তুত, মায়ানমারে বর্তমানে শাসন করছে জুন্টা বাহিনীর সরকার। তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংঘাত শুরু করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশের বেশির ভাগ অঞ্চলই এখন আরাকান আর্মির দখলে চলে গিয়েছে। এই সংঘাতের পরিস্থিতিতে অনেক রোহিঙ্গাই মায়ানমার ছাড়তে শুরু করেছেন। বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছেন তাঁদের অনেকে। এই আবহে শুক্রবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধরা পড়লেন মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের তিন বাসিন্দা।