ধৃত বনানী(মাঝখানে)। নিজস্ব চিত্র।
শিশু খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল নাবালিকা বোন। চার বছর আগে জামিন মুক্ত সেই অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। এই অভিযোগ, ওই মহিলাকে গ্রেফতার করল পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।
২০১৬ সালে মেচেদার শান্তিপুর এলাকায় একটি শিশু খুনের ঘটনায় ২০১৭ সাল থেকে নিখোঁজ ছিল অভিযুক্ত কিশোরী দেবযানী মাইতি। দেবযানীর সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তার দিদি বনানী মণ্ডল। নাবালিকা হওয়ায় জামিন পাওয়ার পরে আদালতের নির্দেশে বনানীর তত্ত্বাবধানেই ছিল দেবযানী। দু’জনেই নিখোঁজ হওয়ায় দেবযানীর পাশাপাশি বনানীর বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল তমলুকের জুভেনাইল আদালত।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে বনানী একটি গাড়িতে করে পাঁশকুড়ায় ধুলিয়াড়ায় শ্বশুরবাড়ি আসছিল বলে তাদের কাছে খবর আসে। সেই মতো বনানীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন জানতে পেরে সিদ্ধা বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সাধারণ পোশাকে আগে থেকেই পাঁশকুড়া থানার অ্যান্টি ক্রাইম ফোর্স অপেক্ষা করেছিল। বনানী গাড়ি থেকে নামতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে এদিন তমলুকের জুভেনাইল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে সিজেএম আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার বনানীকে তোলা হবে তমলুক সিজেএম আদালতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল থেকে ঝাড়গ্রামের তেঁতুলতলায় কমল মাহাতো নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে থাকছিল বনানী এবং তার বাবা-মা। বাবা অবশ্য বছর দুয়েক আগে মারা যান। অভিযোগ, বনানীই বোন দেবযানীকে বাঁকুড়ায় বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। আর নিখোঁজ হওয়ার চার বছর পরে বাঁকুড়া থেকেই গত শনিবার দেবযানীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই দিনই বনানীকে ধরার জন্য পাঁশকুড়া থানার অ্যান্টি ক্রাইম ফোর্স ঝাড়গ্রামে গিয়েছিল। তবে বনানী তার মাকে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় বনানী বোনকে আড়াল করার কথা স্বীকার করেছেন। তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘দেবযানীকে আড়াল করা অভিযোগে তার দিদি বনানী মণ্ডলের বিরুদ্ধেও আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বনানীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।’’