TMC

TMC: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে থানায় দলের অঞ্চল সভাপতি

বিধায়কের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন কমলাকান্ত। তার পরেই তাঁকে ডেকে পাঠায় মহিষাদল থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহিষাদল শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২২ ১৮:৪১
Share:

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কমলাকান্ত মণ্ডল ও মহিষাদলের তৃণমূলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী

দিন কয়েক আগেই মহিষাদলের নাটশাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এ বার সেই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কমলাকান্ত মণ্ডল ভিডিয়ো করে মহিষাদলের তৃণমূলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরাসরি ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ তুললেন। বৃহস্পতিবার নিজের বক্তব্যের সমর্থনে মহিষাদল থানায় বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন কমলাকান্ত। যদিও কমলাকান্তের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন বিধায়ক তিলককুমার। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সর্বৈব মিথ্যে।’’

Advertisement

বিধায়কের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন কমলাকান্ত। সেই ভিডিয়ো দ্রুত ভাইরাল হতেই বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠায় মহিষাদল থানার পুলিশ। বিধায়কের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ওই অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও চাওয়া হয়। থানা থেকে বেরিয়ে অঞ্চল সভাপতি বলেন, ‘‘মহিষাদলের বিধায়কের মদতেই নাটশাল-২ অঞ্চলের ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। কাটমানির টাকা চার ভাগ করা হয়। সেই টাকার একটি ভাগ সরাসরি চলে যায় বিধায়কের কাছে। আমার হাতে যা প্রমাণ রয়েছে, সব পুলিশের হাতে তুলে দেব।’’

কমলাকান্তের এমন মন্তব্যের পর বিধায়ক তিলককুমার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “উনি (কমলাকান্ত) তৃণমূলে থেকেও গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়েই কাজ করেছেন। এঁরা দলের কোনও নির্দেশ মানেন না। এখন বিজেপির সঙ্গে চক্রান্ত করে তৃণমূলকে বদনাম করতেই কাটমানির গল্প সাজাচ্ছেন। ওঁদের বিরুদ্ধে দল ঠিক ব্যবস্থা নেবে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনে ভিজিলেন্স করুক। আমি কোনও জায়গা থেকেই টাকা নিই না। এক টাকাও না।”

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিধায়কের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের স্বপক্ষে কিছু ‘প্রমাণ’ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন কমলাকান্ত। আবারও থানা থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় প্রতিটি কাজের কাটমানি নেন বিধায়ক। আমি বেশ কিছু তথ্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে এলাম। সকলে দেখুন, কী ভাবে দুর্নীতি হয়।’’

বিধায়কের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তদন্ত হোক।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘কমলাকান্ত আগে অঞ্চল সভাপতি থাকলেও এখন আর ওই পদে নেই তিনি। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছেন তিনি।’’

এ প্রসঙ্গে, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপিকে কোনও চক্রান্ত করতে হয় না। নাটশাল-২ অঞ্চলে লাগামছাড়া দুর্নীতি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে। গরিব মানুষদের হকের টাকা নিয়ে এঁরা পকেট ভরছে! এ জন্যই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সরাসরি মুখ খুলেছেন। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূল এর জবাব পেয়ে যাবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement