চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রজশোল গ্রামে
চাপ চাপ রক্ত মেঝেতে। ছিটকে আসা রক্তের দাগ লেগে রয়েছে দেওয়ালেও। বৃহস্পতিবার সকালে নির্মীয়মাণ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ তৃণমূলকর্মীদের। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রজশোল গ্রামের ঘটনা। কার্যালয়ে রক্তের দাগ উদ্ধার হতেই খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ওই রক্ত কোনও পশুর না কি মানুষের, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা তৈরি হয়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও।
গত কয়েক দিন ধরেই ব্রজশোল গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়টি নতুন করে গড়ে তোলার কাজ চলছে। কার্যালয়ে টিনের চাল লাগানো হলেও এখনও দরজা-জানলা বসানো হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূলকর্মী ওই কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন ভিতরে মেঝেতে জমে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। দেওয়ালেও রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন কার্যালয়ে। খবর পেয়ে জয়পুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে, ওই রক্ত কোনও মানুষের না কি কোনও পশুর।”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের হেতিয়া অঞ্চল সভাপতি নদিয়া দে বলেন, “দলীয় কার্যালয়ের দরজা-জানালা এখনও না-বসায় সেখানে অনায়াসে যে কেউ প্রবেশ করতে পারেন। আমাদের মনে হয়, কার্যালয়ের ভিতর কেউ ছাগল বা ওই জাতীয় প্রাণী এনে কেটেছে। তারই রক্ত।”
স্থানীয় বিজেপি নেতা নবকুমার চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “এ রাজ্যে অনেক কিছুই সম্ভব। কার্যালয়ের ভিতর দলীয় কর্মীরা হয়তো মারামারি করেছে। ওঁদেরই কারও রক্ত ঝরে থাকতে পারে। অন্য কাউকে কার্যালয়ে এনে খুনও করা হতে পারে। আমাদের দাবি, পুলিশ দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে সত্য সামনে আনুক।”