—প্রতীকী চিত্র।
কন্যাশ্রীতে রাজ্যের মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রথম হয়েছে। আজ, বুধবার কন্যাশ্রী দিবসে ঝাড়গ্রাম জেলাকে সংবর্ধিত করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নিজের বিয়ে নিজে আটকে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার প্রত্যন্ত এলাকার এক নাবালিকা কন্যাশ্রীকেও সংবর্ধনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি বছরে গত ১০ জুলাই নয়াগ্রাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাছুরখোয়াড় বাসিন্দা সাবিত্রী পাল চাইল্ড লাইনের নম্বরে ফোন করে তার বিয়ের কথা জানায়। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাইলেও পরিজনেরা তার ও বোনের জোর করে বিয়ে দিচ্ছেন বলে জানায় সাবিত্রী। জেলা প্রশাসন তৎপর হয়। তারপর নয়াগ্রাম ব্লক প্রশাসনের টিম গ্রামে যায়। ১৮ বছর না হলে দু’জনের বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন পরিজনেরা। সাবিত্রী বাছুরখোয়াড় এসসি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। নিজের বিয়ে আটকানোর সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য সাবিত্রীকে আজ, কলকাতার ধনধান্য অডিটেরিয়ামে সংবর্ধনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সাবিত্রী বলে, ‘‘আমরা দু’জনেই পড়াশোনা চালাতে চাই। তাই বিয়ে যাতে না হয় সেজন্য চাইল্ড লাইনে ফোন করেছিলাম।’’
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার কন্যাশ্রীর মেয়েদের প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার পর রাজ্য থেকে জেলায় ইমেল মারফত জানানোর হয়, রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলা কন্যাশ্রীতে ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হবে। জেলা কন্যাশ্রী আধিকারিক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুল স্তর থেকে ব্লক প্রশাসন সকলে ভাল কাজ করেছে। এ জন্য জেলা থেকে নিয়মিত তদারকি করা হত।’’
আজ, বুধবার জেলাস্তরীয় কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠান হবে জেলা প্রশাসনের সিদো-কানহো সভাকক্ষে। জেলার মধ্যে কন্যাশ্রীতে প্রথম হয়েছে শিলদা সারদামণি বিদ্যাপীঠ, দ্বিতীয় হয়েছে নয়াগ্রাম থানা বালিকা বিদ্যাপীঠ, তৃতীয় হয়েছে ঝাড়গ্রাম রানি বিনোদমঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়।