—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝাড়গ্রামে একটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত দু’জন সম্পর্কে দাদা এবং ভাই। তাঁদের জমিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় হাতিটির।
ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তৃত অংশে দলমা হাতির যাতায়াত রয়েছে। সারা বছরই শতাধিক হাতি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে মাঝেমধ্যে খাবারের খোঁজে হানা দেয়। চলে আসে কৃষিজমিতেও। কৃষকরাও তাঁদের জমির ফসল বাঁচাতে নানা উপায় নেন। তার মধ্যে অনেকে জমিতে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রাখেন। বহু ক্ষেত্রে ওই তারের ছোঁয়ায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমনকি, মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে বারংবার মানুষকে সচেতন করা সত্ত্বেও জমিতে এই বিদ্যুতের তার দেওয়ার প্রবণতা কমেনি। সেই প্রমাণই মেলে গত ৩০ সেপ্টেম্বর। ওই দিন ঝাড়গ্রাম থানার বাদরভোলা বিটের জোয়ালভাঙা গ্রামে একটি বরবটি জমি থেকে একটি ১২ বছরের স্ত্রী হাতির দেহ উদ্ধার হয়।
বন দফতরের কর্মীরা উদ্ধারের পর হাতিটির ময়নাতদন্ত হয়। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, হাতিটির মৃত্যু হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এটা জানতে পারার পরেই ঝাড়গ্রাম বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই জমির মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। রবিবার জমির মালিক ওই দুই ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, ‘‘পুরোনো রেকর্ডে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও গ্রেফতার কেউ হননি। এখানে এই প্রথম বার গ্রেফতারি হল।’’ তিনি জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। যে জমিতে হাতিটির দেহ উদ্ধার হয়, সেই জমির মালিকদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন। পঙ্কজ বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি, এ বার হয়তো এমন ঘটনা কমবে।’’
ওই গ্রেফতারি ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘যে জমিতে হাতিটির দেহ উদ্ধার হয়, সেই জমির মালিকদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’’