পুরসভার কনফারেন্স রুমে নাগরিকদের অভিযোগ শুনছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র
এত দিন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুর অধিবেশনে মেয়রকে সামনে পেয়ে তোপ দাগতেন বিরোধীরা। এ বার নাগরিকরা সরাসরি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এ নিয়ে বিঁধলেন এবং কী ভাবে তার প্রতিকার পাওয়া যায়— আবেদনও জানালেন। মেয়র যদিও কোনও বিরক্তি প্রকাশ না করে পুর আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার তরফে একটি টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫১২১৩ চালু করা হয়েছে। সপ্তাহে এক দিন করে (প্রতি বুধবার) সরাসরি মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন কলকাতার নাগরিকরা। বুধবার বিকেল ৪-৫, শহরবাসীর অভিযোগ শোনেন ফিরহাদ হাকিম। অভিযোগে মেয়রের নিজের দলেরই এক নেতার নাম উঠে আসে। কসবার এক বাসিন্দা ফিরহাদকে ফোন করে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ওই জমিতে উন্নয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না। হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। ইনজাঙ্কশনও হয়ে আছে। এমনকি জাভেদ খানের নাম করে ভয় দেখানো হচ্ছে।”
ওই অভিযোগ শুনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “প্রশাসন এবং কলকাতা পুরসভা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে। আদালতে বিষয়টি মিটে গেলেই, আপনি বিল্ডিং প্ল্যান জমা দিন। কাজ হয়ে যাবে। ও যদি জাভেদ খানের নাম করে, তা হলে আপনি ফিরহাদ হাকিমের নাম করবেন।”
কলকাতার মেয়রের এই বক্তব্য শুনে ‘আশ্বস্ত’ হন ওই ব্যক্তি। ফোন রাখার পর পুর আধিকারিকদের বিষটি খতিয়ে দেখতে বলেন মেযর। বি কে পাল অ্যাভেনিউ থেকে এমনই একটি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ আসে। শহরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন অভিযোগ আসতে থাকে। এ ছাড়াও, কোথাও খাওয়ার জলের সমস্যা, কোথাও রাস্তায় গর্ত। আবার কোথাও জঞ্জাল পরিষ্কার হচ্ছে না, এমনও অভিযোগ আছে। এ বিষয় মেয়র বলেন, “আমি সেবক। কলকাতার জন্যে কাজ করছি। কেউ যদি কারও নাম বলে অসাধু কাজ করে থাকে, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুরসভা। আমার মানুষের পাশেই রয়েছি।”
আরও পডু়ন: ‘বাংলা’ নয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ’ই ভাল: অধীর-বাবুল একসুর, তৃণমূল এখনও নীরব
আরও পড়ুন: দু’দশক পর কংগ্রেসের রাশ যাচ্ছে গাঁধী পরিবারের বাইরে, রাহুলের উত্তরসূরির দৌড়ে শিন্ডে-খড়্গে
এই অভিযোগ জানানোর জন্য একটি অ্যাপও আনছে পুরসভা। এ ছাড়া কলকাতাতে ‘জল ধর, জল ভর’ প্রকল্প চালু করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।