প্রতীকী ছবি।
গাছের সঙ্গে বেঁধে এক বিবাহিত মহিলা ও যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামের কিছু মানুষের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রহৃতদের উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক। পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের দৌলতপুর এলাকায়। অভিযোগ, অবিবাহিত ওই যুবকের সঙ্গে মহিলার অনেকদিনের সম্পর্ক। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, কিছুদিন আগে তাঁরা পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে ফিরে আসেন। এ নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসে। সিদ্ধান্ত হয়, ওঁরা আর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখবেন না।
তার পরেও অবশ্য দু’জনের মেলামেশা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীদের একাংশের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় দু’জনকে একটি পেয়ারা বাগানে দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের ধরে গাছে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার একটা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি)।
স্থানীয় ভরকুন্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, ‘‘কারও দোষ থাকলেও আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। পুলিশ বা পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানানো উচিত ছিল। পুলিশকে বলব, দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে।’’ মারধরের ঘটনার নিন্দা করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীও। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে সাজা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। ওঁরা আইনবিরুদ্ধ কিছু করলেও, তা হলে আইনের দ্বারস্থ হওয়া উচিত ছিল।’’