গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির জেরেই দড়ির ফাঁসে ঝুলে পড়েছেন বাড়ির বধূ। তবে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানোর আগে পর্যন্ত তা ফেসবুকে লাইভ করেন তিনি। এর পর হোয়াটসঅ্যাপে সেই লিঙ্কটি তাঁর প্রেমিককে পাঠিয়ে দেন। শুক্রবার ধূপগুড়ির এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তার পরিবারের এমনই দাবি। যদিও এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে ধূপগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিধান রোডের একটি বাড়ির দোতলা থেকে সীমা মজুমদার (৩৫)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, সম্প্রতি তুহিন সাহা নামে কলকাতার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সীমার। ওই যুবকের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি হওয়ায় আত্মহত্যা করেন তিনি।
মৃতার স্বামীর দাবি, কিছু দিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তুহিনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমার। সে সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর তুহিনের সঙ্গে দিনরাত ফোনেই ব্যস্ত থাকতেন স্ত্রী। এ নিয়ে সংসারে জটিলতাও তৈরি হচ্ছিল। শুক্রবার ফাঁসিতে ঝোলার আগে নিজের মোবাইল ফোনে ফেসবুকের মাধ্যমে সে ভিডিয়ো তুলে তুহিনকে পাঠান সীমা।
শুক্রবার বিকেলে আত্মঘাতী হওয়ার আগেও স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সীমার স্বামী। তাঁর কথায়, ‘‘দুপুরে সীমাকে ভাত খেতে ডাকলাম। ঘর থেকে আসছি বলে দোতলায় চলে যায়। কিছু ক্ষণ পরে গিয়ে দেখি, এ অবস্থা... !’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘কয়েক দিন ধরে কলকাতার একটি ছেলের সঙ্গে ওর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তার পর থেকে আমার সঙ্গে ঠিক মতো কথাও বলত না। শুধু বলত, ‘তুহিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নেই... শুধু বন্ধুত্ব! কিন্তু ওর সঙ্গে কথা না বললে আমার ভাল লাগে না।’ ’’
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে একে আত্মহত্যা বলে মনে করলেও অন্য রহস্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য সীমার দেহ জলপাইগুড়িতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।