school

সাইবার-জটে স্কুলে হাতে লেখা মার্কশিট

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, পোর্টালে নম্বর আপলোড করার জন্য আর কোনও সময়সীমা নেই। পোর্টালে সব পড়ুয়ার নম্বর আপলোড করার আগে পর্যন্ত ওই কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কম্পিউটার যে-সব স্কুলে নেই, নম্বর পাঠানোর জন্য দৌড়োদৌড়িরও সীমা নেই তাদের। যে-সব স্কুলে কম্পিউটার আছে, তারাও যে সময়সীমার মধ্যে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে নম্বর আপলোড করতে পারছে, তা নয়। কারণ একটাই— সাইবার-সমস্যা। দরকারি পরিকাঠামো আগে থেকে তৈরি না-করে নম্বর আপলোডিংয়ের নির্দেশ কেন, তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ কালের। এই অবস্থায় নম্বর আপলোড করার সময়সীমা আর থাকছে না বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য হাতে লেখা মার্কশিটের ব্যবস্থা করতে হবে।

Advertisement

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, পোর্টালে নম্বর আপলোড করার জন্য আর কোনও সময়সীমা নেই। পোর্টালে সব পড়ুয়ার নম্বর আপলোড করার আগে পর্যন্ত ওই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সঙ্গে এমন ব্যবস্থাও করতে হবে, যাতে ছেলেমেয়েরা পাশ করল না ফেল, তারা ও তাদের অভিভাবকেরা যেন তা ঠিক সময়ে জানতে পারেন। প্রয়োজনীয় প্রোমোশন বা ডিটেনশন মার্কশিট পরে ডাউনলোড করলেও চলবে। বাংলা শিক্ষা পোর্টাল বেশির ভাগ সময় পোর্টাল কাজ করে না, এই ধরনের অভিযোগ অনেক দিন ধরেই করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই সমস্যার মোকাবিলা এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।

এখন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল নেই। সব পড়ুয়াকেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তুলে দিতে হবে, সরকারি নির্দেশ এমনই। কিন্তু তার পরে, বিশেষত নবম থেকে যারা দশম শ্রেণিতে উঠছে, তাদের ক্ষেত্রে পাশ-ফেল ব্যবস্থা বহাল আছে। শিক্ষক শিবিরের একাংশ জানাচ্ছেন, নম্বর আপলোড করার সময়সীমা বাড়ালেও সমস্যার পুরো সমাধান হবে না। বেশির ভাগ পড়ুয়া মার্কশিট চায়। অথচ পোর্টালে নম্বর পুরোপুরি আপলোড না-করলে সেই মার্কশিট পাওয়া যাবে না। তাই হাতে লিখে মার্কশিট দিতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

Advertisement

এতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজ কার্যত দ্বিগুণ হয়েছে বলে অভিযোগ। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘অনেক শিক্ষককে এক বার হাতে লিখে মার্কশিট তৈরি করতে হচ্ছে। আবার নম্বরও আপলোড করতে হচ্ছে পোর্টালে। পোর্টালটি ‘আপডেটেড’ হওয়া পর্যন্ত সমস্যা চলবেই।’’ ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘যে-সব স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি, সেখানে কত দিন ধরে নম্বর আপলোড করতে হবে, ধন্দে আছেন শিক্ষকেরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement