BJP

খুন না আত্মহত্যা? জমি বিক্রি কেন? বিধায়ক-মৃত্যুতে এখনও রহস্যের জট অনেকগুলো

গোটা ঘটনায় আরও কয়েকটি অসঙ্গতি চোখে পড়েছে তদন্তকারীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ০০:৪২
Share:

বিধায়কের মৃত্যুতে বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি চোখে পড়েছে তদন্তকারীদের। —নিজস্ব চিত্র।

হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে আরও রহস্য। উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন, যার উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমার অভিযোগ, দেবেন্দ্রনাথকে কেউ ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তা নিয়ে বিশদে কিছু জানাতে পারেননি বিধায়কের স্ত্রী। ঠিক কখন তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন? সেই উত্তরও মেলেনি পরিবারের কাছে। প্রাথমিক ভাবে চাঁদিমার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, গভীর রাত পর্যন্ত, অন্তত রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ। তার পর কখন তিনি বেরিয়েছেন, তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী।

অন্য দিকে, গোটা ঘটনায় আরও কয়েকটি অসঙ্গতি চোখে পড়েছে তদন্তকারীদের। বিধায়কের বাড়ি থেকে যেখানে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানকার দূরত্ব এক কিলোমিটারের বেশি। পুকুর, জলাজমির পাশ দিয়ে খানাখন্দে ভরা সেই রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। গোটা রাস্তার জায়গায় জায়গায় জলকাদা। বসতিও খুব একটা নেই। রয়েছে গাছপালা, বাগানও। বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রী আলাদা ঘরে রাতে ঘুমোন। প্রশ্ন, ফাঁকা ঘরে আত্মহত্যা না করে কেন প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে বাজারে গিয়ে বন্ধ দোকানের সামনে আত্মহত্যা করলেন দেবেন্দ্রনাথ?

Advertisement

আরও পড়ুন: বিধায়ক-মৃত্যুতে উত্তরবঙ্গ বন্‌ধ ডাকল বিজেপি, তৃণমূল বলল লাশের রাজনীতি

আরও পড়ুন: হুগলিতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের​

বিধায়কের দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছে, এ দিন সেই বাজারে যান তদন্তকারীরা। বিধায়কের বাড়ি থেকে বেশ কয়েক বার সেই বাজার পর্যন্ত যাতায়াত করেন তাঁরা। যাতায়াতের পথে দিনের বেলাতেও তাঁরা কাদা এড়াতে পারেননি। অনেকেরই প্যান্টে কাদা লেগেছে। প্রশ্ন, গভীর রাতে বিধায়ক হেঁটে গেলেন ওই রাস্তা দিয়ে। অথচ তাঁর জামা বা লুঙ্গিতে কোনও কাদার দাগ নেই কেন? তা হলে কি বিধায়ক হেঁটে সেখানে যাননি?

হেঁটে না গেলে কী ভাবে গেলেন? তাঁর মোটরসাইকেল রয়েছে বাড়িতেই। প্রশ্ন, এত রাতে অন্ধকারের মধ্যে বেরিয়ে এতটা রাস্তা কেন হেঁটে যাবেন বিধায়ক? কেন তিনি মোটরসাইকেল নিলেন না? তবে কি তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ ছিল? এই প্রশ্নগুলোর পাশাপাশি আরও একটি তথ্যের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত বছরের শেষ দিকে প্রায় ১০ বিঘা চাষের জমি বিক্রি করেছিলেন বিধায়ক। হঠাৎ টাকার প্রয়োজনে জমি বিক্রি না কোথাও লগ্নি করার জন্য বা কারওকে দেওয়ার জন্য জমি বিক্রি করেছিলেন তিনি? তদন্তকারীদের দাবি, এই প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া গেলে, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ হিসাবে এই মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে সাহায্য করবে এই তথ্যগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement