সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি।
বাইকে নয়। মূল আততায়ী দাঁড়িয়ে ছিল মণীশ শুক্লর গা ঘেঁষেই। সাদা জামা পরা লম্বা দোহারা চেহারার ওই যুবকই খুব কাছ থেকে মাটিতে পড়ে যাওয়া মণীশ শুক্লকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায়।
রবিবার রাতে ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর খুনের পর একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থলে চায়ের দোকানের সামনে সঙ্গীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে মণীশ। পাশেই তাঁর স্করপিও গাড়ি বিটি রোডের ওপর দাঁড় করানো । গাড়ির বাঁ দিকের সামনের দরজা খোলা। বাঁ দিকের ইন্ডিকেটর জ্বলছে। গাড়ির দিকে পেছন করে দাড়িয়ে মণীশ। ঠিক সেই সময়ে মণীশ এর গাড়ি পেরিয়ে তাঁর মুখোমুখি চলে আসে একটা মোটর বাইক। বাইকে দুজন। বাইকের পিছনে বসা যুবক মণীশ এবং তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতে হতচকিত হয়ে যান মনীশের সঙ্গীরা। ততক্ষণে গাড়ির দরজার আড়ালে মাটিতে পড়ে গিয়েছেন মণীশ। আতঙ্কে চারদিকে ছোটাছুটি করছেন সবাই।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেই সময় চায়ের দোকানের পাশ থেকে প্রায় মাটি ফুঁড়ে হাজির হয় এক যুবক। মাটিতে পড়ে থাকা মণীশকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালাতে থাকে সে। তারপরই ওই আততায়ী গাড়ির অন্যপ্রান্তে অর্থাৎ বিটি রোডের দিকে চলে যায়। পেছন থেকে একটি বাইক আসে এবং সেই বাইকে চড়ে বসে আততায়ী। তারপর প্রথমে আসা বাইকটি এবং এই দ্বিতীয় বাইকে মোট চারজন শূন্যে গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায় ডানলপের দিকে।
মণীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ:
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ২
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সিআইডির তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন আততায়ী মঞ্চের পাশেই চায়ের দোকানের সামনে ছিল। প্রথম দলটি এসে গুলি চালিয়ে মণীশ এবং তার সঙ্গীদের হতভম্ব করে দেওয়া মাত্রই মূল কাজটা সারে ওই আততায়ী।
আরও পড়ুন: মেয়ের জন্য নিজের ভাবমূর্তি বদলাতে চেয়েছিলেন মণীশ
তদন্তকারীদের দাবি, এই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আততায়ীদের ব্যবহার করা দুটি মোটরবাইক চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। ওই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় গোলাপ শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে। জানা যায় এই গোটা অপারেশনের পিছনে রয়েছে টিটাগড় এলাকারই এক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খুররম। পুরনো শত্রুতার জেরে খুররম মণীশকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে বলে দাবি পুলিশের। তবে খুররম ছাড়াও এর পিছনে আরও কেউ আছে কি না, সেগুলো জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।