বালির বাসিন্দা বিশাল সেকসরিয়ার বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে ক্রেতাদের প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। —নিজস্ব চিত্র।
কম দামে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ মোটরবাইক, গাড়ি বা বৈদ্যুতিন সামগ্রী চাই? নেটমাধ্যমে এ ভাবেই বিজ্ঞাপন দিয়ে নাকি ক্রেতাদের ‘প্রলোভন’ দেখাতেন বালির বাসিন্দা বিশাল সেকসরিয়া। অভিযোগ, বিজ্ঞাপন দিয়ে পুরনো সামগ্রী বিক্রির নামে অনলাইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এই অভিযোগে মঙ্গলবার তাঁকে বালি থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। হাওড়া আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার বালি এলাকায় জি টি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে বিশালকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের একটি দল। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির জ্যোতি নগর থানায় ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে ২৫ অক্টোবর বিশালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, বিভিন্ন সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন যে বালি থেকে অনলাইনে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন বিশাল।
কী ভাবে প্রতারণা করতেন বিশাল? তদন্তকারীদের দাবি, ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দিয়ে কম দামে পুরনো বৈদ্যুতিন সামগ্রী থেকে শুরু করে গাড়ি বা বাইক ইত্যাদি বিক্রির টোপ দিতেন তিনি। এমনকি, দিল্লিতে এ সংক্রান্ত একটি সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। প্রথম দিকে ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিছু সামগ্রী বিক্রি করতেন। ক্রমে আস্থা অর্জনের পর অনলাইনে ক্রেতাদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন বিশাল।
জিতিন রাম নামে দিল্লির এক বাসিন্দার অভিযোগ, ল্যাপটপ কিনবেন বলে অনলাইনে বিশালকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি। তবে টাকা দিলেও ল্যাপটপ পাননি। এর পর জ্যোতি নগর থানায় বিশালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন জিতিন। সেই অভিযোগের তদন্তেই পুলিশের জালে পড়লেন বিশাল!