মমতা বলেন, তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরের সময়সূচি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। নিজেই মঞ্চ থেকে সফরের সময়সূচি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘আমি তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে এসেছি। শিলিগুড়ির পর জলপাইগুড়িতে কাজ রয়েছে। সেই কাজ শেষ করে ফিরতে রাত হয়ে যাবে।’’
শিলিগুড়িতে ১১টি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
তাঁর এ বারের পাহাড় সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হল মে-জুন মাসের মধ্যে জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নির্বাচনকে নিশ্চিত করা, রবিরার শিলিগুড়িতে ১১টি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিয়ে মঞ্চ থেকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরের সময়সূচি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। নিজেই মঞ্চ থেকে সফরের সময়সূচি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘আমি তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে এসেছি। শিলিগুড়ির পর জলপাইগুড়িতে কাজ রয়েছে। সেই কাজ শেষ করে ফিরতে রাত হয়ে যাবে।’’ মমতা জানান, তিনি সুনির্দিষ্ট কাজ নিয়ে শিলিগুড়িতে এসেছেন। সেই কাজ হল, মে-জুন মাসের মধ্যে জিটিএ নির্বাচন করা। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন বলে জানান মমতা।
এ কথা বলতে গিয়ে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত রয়েছে। আমি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত করার জন্য কেন্দ্রের কাছে একাধিক বার আবেদন জানিয়েছি। যে হেতু আইন বদল করা কেন্দ্রের হাতে, তাই কেন্দ্রকে বলছি, আইনটা করে দিন। তা হলে আইনসম্মত ভাবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে।’’
প্রসঙ্গত, ২২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জিটিএ থেকে কালিম্পংকে থেকে বার করে আনার জন্য আবেদন জানান ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার বিধায়ক রুদেন সদা লেপচা। তিনি অবিলম্বে জেলা পরিষদ গঠন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আবেদন জানান। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা প্রকারন্তরে মঞ্চ থেকে বিধায়কেই বার্তা দিয়েছেন।
আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য মঞ্চ থেকে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির পুর নির্বাচনের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনকেও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।’’ পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা,“পরের বছর পঞ্চায়েত ভোট। প্রতিনিধিদের বলব, তার আগে কাজ শেষ করুন। কথা কম বলে কাজ করুন। কাজ করে তার কথা বলুন, তার আগে নয়।”