গ্রাফিক— নিরূপম পাল
টিকা চেয়ে মমতা আবার চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তবে এবার তার সঙ্গে জুড়লেন একটি প্রস্তাবও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘টিকার বিপুল চাহিদা মেটাতে বিদেশি সংস্থাগুলিকে দিয়ে টিকা উৎপাদন করানো যেতে পারে। দেশে তাদের শাখা খোলার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে’। মমতা বলেছেন, ‘কেন্দ্র যদি চায়, তবে টিকা তৈরির কারখানার জন্য এই সংস্থাগুলিকে জমিও দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার’।
বুধবার মোদীকে লেখা ওই চিঠিতে বিদেশ থেকে টিকা আমদানি করার প্রস্তাবও দিয়েছেন মমতা। মোদীকে তাঁর পরামর্শ, ‘টিকাকরণই যখন সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায় তখন টিকার জন্য এবার বিদেশি সংস্থাগুলির শরণাপন্ন হোক কেন্দ্র’। মমতার কথায়, ‘দেশের বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে আমরা এখন যাচাই করে নিতে পারি বিদেশের কোন সংস্থার তৈরি টিকা ভারতে সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী’। তা দেখে, বিচার বিবেচনা করে দ্রুত বিদেশ থেকে টিকা আমদানির করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন মমতা। মোদীকে তিনি লিখেছেন, ‘আমার পরামর্শ, আর বেশি দেরি না করে এবার টিকার আমদানিতে জোর দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। কারণ এই মুহূর্তে দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে টিকার আমদানিই সবচেয়ে বেশি জরুরি’।
এমনকি দেশে ওইসব বিদেশি সংস্থার শাখা বা ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘সেক্ষেত্রে কেন্দ্র যদি চায়, তবে টিকা তৈরির কারখানার জন্য রাজ্য জমি দিতেও রাজি’। একই প্রস্তাব দেশের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকেও দিয়েছেন মমতা।
মোদীকে লেখা মমতার চিঠি।
দেশের টিকার চাহিদার অনুপাতে জোগান যে যথেষ্ট নয়, তা আগেও বলেছেন মমতা। বুধবারের চিঠিতেও লিখেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে স্পষ্ট যে, দেশের টিকার উৎপাদন চাহিদার অনুপাতে যথেষ্ট নয়। পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি এবং দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ টিকার জোগান দরকার, এ পর্যন্ত তার অতি সামান্যই পূরণ করা গিয়েছে’।