বন্ধের নামে পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছবি: টুইটার।
পাহাড়ে বন্ধের নামে আইন হাতে তুলে নিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। শিলিগুড়িতে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, উন্নয়নের জন্য নয়, বন্ধের নামে পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্ধের আহ্বায়ক জিটিএ বিরোধী বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডদের প্রতি মমতার স্পষ্ট বার্তা, ‘‘(পাহাড়ে) কোনও বন্ধ হবে না।’’
বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব’-এর বিরোধিতায় ২৩ ফেব্রুয়ারি, বুধবার থেকে পাহাড়ে ১২ ঘণ্টায় বন্ধ ডেকেছে জিটিএ বিরোধী পক্ষ। তাতে রয়েছেন বিনয় তামাং, হামরো পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অজয় এডওয়ার্ড-সহ জিটিএ-র ৭ সদস্য। আপাতত ২৪ ঘণ্টার অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। দার্জিলিঙের ভানু ভবনের সামনে শুরু হয়েছে তাঁদের অনশন।
বুধবার থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই আবহে বন্ধের আহ্বায়কদের শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে কোনও বন্ধ-টন্ধ হবে না। বন্ধ করলে আমরা সমর্থন করব না।’’ মমতার দাবি, ‘‘পাহাড়ে কেউ কেউ মাঝেমধ্যে বন্ধ ডাকেন। তবে উন্নয়নের জন্য নয়। কী করে পাহাড়ে অশান্তি করা যায়, সে জন্য।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘২৩ তারিখ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিচ্ছি, কেউ যদি বঙ্গভঙ্গ নিয়ে আন্দোলন করতে যায়, সে আন্দোলন করতেই পারেন, তবে আইন হাতে তুলে নিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’
সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে শাসকদলের তরফে ‘বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব’ নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নিয়ে গণভোটের দাবি করেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। যদিও সেই দাবির বিরোধিতা করেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। সোমবারই বিধানসভায় ওই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এর পরেই ওই প্রস্তাবের বিরোধিতায় ১২ ঘণ্টায় বন্ধ ডাকা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ জিটিএ এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে জিটিএ বিরোধী পক্ষ। যদিও মমতার দাবি, ‘‘পাহাড়ের কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁরা বছরে এক বার বন্ধ করেন। তবে পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, আমরা বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না।’’