নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের এক নেতার ‘প্রাসাদোপম’ বাড়ি নিয়ে এলাকায় চর্চা হওয়ার কথা প্রকাশিত হয়েছিল ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য়। মঙ্গলবার আসানসোলের কর্মী সম্মেলন থেকে সে প্রসঙ্গ টেনে সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা এ দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কে একটা পঞ্চায়েত প্রধান দোতলা বাড়ি করেছে, তোমরা বড় ছবি করছ। কিন্তু কোন পঞ্চায়েত প্রধান জনমজুরের কাজ করছেন, মাঠে ট্রাক্টর চালাচ্ছেন, একশো দিনের কাজ করছেন, তা কখনও ছবি করো না। একটা লোক দিয়ে বিচার করবেন না।” প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের একটি পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায় পরিচারিকার কাজ করেন। তাঁর কথা সম্প্রতি ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য জেনে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে আমাদের কথা জানেন, এটাই বড় প্রাপ্তি।” ঘটনা হল, ওই জেলারই আউশগ্রামে সকালে ধান মাপা শ্রমিক এবং বিকালে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের সুনীল বাউরির খবরও ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য: “চাকরির টাকা জমিয়ে কেউ একটা বাড়ি করতে পারে না? নিশ্চয়ই পারে। যদি কেউ দুর্নীতি করে, সেটা ধরো। কিন্তু কোনও পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থাকা অন্যায়, এটা বিশ্বাস করি না। তোমরা মিডিয়াতে অনেকে আছো। নিশ্চয়ই ঘরবাড়ি আছে। যদি তোমাদের ঘরবাড়ি নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে, ছবি তুলে দিয়ে দেয়, তুমি কোন বাড়িতে থাক, আমি কোন বাড়িতে থাকি— সেটাও কিন্তু ভাল দেখাবে না।” সংবাদমাধ্যমের প্রতি তাঁর পরামর্শ: “জগতের সব লোক ভাল হয় না। কিন্তু মনে রাখবেন, সব লোক খারাপ নয়।”
পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের এগারা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অশোক হেলার বাড়ি নিয়ে এলাকায় চর্চা থাকার কথা মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছিল। অশোকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, এ দিন তিনি ফোন ধরেননি। জবাব মেলেনি মেসেজের।