মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অটলবিহারী বাজপেয়ী। ছবি আনন্দবাজার পত্রিকার আর্কাইভ থেকে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাজপেয়ীর কাশ্মীর-মন্তব্যকে তুলে ধরে নাম না করে মোদী সরকারকে ফের কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।
১৯৯৮-এ কেন্দ্রে বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন মমতা। সেই সময়ে রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। বাজপেয়ীকে স্মরণ করার সময় তাঁর একটি মন্তব্যকে উদ্ধৃত করেন মমতা। সেই মন্তব্যের মধ্য দিয়েই কাশ্মীরের প্রসঙ্গটি তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। কাশ্মীর প্রসঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ী একটা সময় বলেছিলেন, বন্দুক কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে না। সমস্যার সমাধান সম্ভব ‘ইনসানিয়ত্’ (মানবিকতা), জমহুরিয়ত্ (গণতন্ত্র) এবং কাশ্মীরিয়ত্(কাশ্মীরের সংস্কৃতি)— এই তিনটি নীতির সাহায্যে। কাশ্মীর নীতিতে এই তিনটি শব্দেই আস্থা রাখতেন বাজপেয়ী। শুক্রবার বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর সেই মন্তব্যই টুইট করেন মমতা।
বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক ছিল। নানা জায়গায় বার বার এ কথা বলেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কতটা গভীর ছিল তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে সোশ্যাল মিডিয়াকে এ বার কাজে লাগাল তৃণমূল। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) টিম তৃণমূলের হয়ে ‘আমার গর্ব মমতা’ নামে একটি টুইটার পেজ চালায়। সেখানে হাতে আঁকা একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে অটলবিহারী বাজপেয়ী খেতে বসেছেন। তাঁর ঠিক উল্টো দিকে বসে আছেন মমতা। আর বাজপেয়ীকে খাবার পরিবেশন করছেন মমতার মা গায়ত্রী দেবী। সঙ্গে লেখা রয়েছে, বাজপেয়ী এবং মমতার মধ্যে সম্পর্ক এতটাই ভাল ছিল, যা এখনকার নেতাদের কিছু কথার মাধ্যমে কলঙ্কিত করা যাবে না।
আর দু’বছর পরে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটকৌশল ঠিক করতে ইতিমধ্যেই পিকে-কে এনেছে তৃণমূল। সমাজের সব স্তরে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে টিম পিকে। বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, এটাও এক ধরনের রণকৌশল।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক
আরও পড়ুন: রোজভ্যালি-কাণ্ডে হাজিরা দিতে এলেন রাজীব কুমার