বৈঠকে সর্বসম্মতিতে স্থির হয়েছে, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা।
লক্ষ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তা নিয়েই সোমবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসল তৃণমূল। ওই নির্বাচন নজরে রেখে এখন থেকেই সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হবে, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। পাশাপাশি তিনি জানান, বৈঠকে সর্বসম্মতিতে স্থির হয়েছে, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা।
তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে সর্বভারতীয় দল হিসেবে এখন থেকে শক্তি বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডেরেক বলেন, ‘‘দল বড় হচ্ছে। আমরা গ্রোয়িং পার্টি। ২০২৪ সালে গোটা দেশকে পথ দেখাবে তৃণমূল। সর্বভারতীয় স্তরে শক্তি বাড়ানোর কাজ এখন থেকেই শুরু হবে।’’ দলের পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক দিল্লিতে হবে বলেই জানালেন সাংসদ।
প্রাথমিক ভাবে, দলের সংবিধানেও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূলের ডিএনএ পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু দলের সংবিধান পরিবর্তন করা হবে।’’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটিতে ২১ জন সদস্য রয়েছে। বাংলার বাইরের বেশ কিছু নেতাকেও ওই কমিটিতে নেওয়া হবে। মেঘালয়, হরিয়ানা-সহ অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হবে। আর সেই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা।
ডেরেকের কথায়, ‘‘আগামী দিনে দলের সংবিধানে যা যা পরিবর্তন হবে, সে বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন মমতাদি-ই। ওয়ার্কিং কমিটিতে পরবর্তী কালে কাদের নেওয়া হবে, সে বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মমতাদিরই।’’
কমিটির ২১ জন সদস্য ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হা, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, হরিয়ানার নেতা অশোক তনওয়ার, প্রাক্তন জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) নেতা পবন বর্মা এবং টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ।
বৈঠক শেষে পবন বলেন, ‘‘আজকের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বিভিন্ন কারণে ঐতিহাসিক। এই বৈঠকের পর থেকে বড় জাতীয় দল হওয়ার জন্য সব রকম পদক্ষেপ করবে তৃণমূল। যাতে আগামী দিনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা যায়। আজ দেশের যা অবস্থা, তাতে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সবাইকেই আন্দোলনে নামতে হবে। আর মমতাদিকে এই দায়িত্ব নিতে হবে।’’