Visva Bharati University Plaque Controversy

‘ছোট নাম’ ফলকে, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

একাধিক বার আপত্তি জানানো, আন্দোলনের পরেও বিতর্কিত ফলক এখনও সরায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলস্বরূপ বার্তায় আরও এক বার উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৯
Share:

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আশ্রমের রাস্তা ফেরত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রবিবার তাঁকে চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক নিয়ে আরও এক বার উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপাচার্যের নাম না-নিয়ে ফলকে তিনি নিজের ‘ছোট নাম’ লিখেছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

একাধিক বার আপত্তি জানানো, আন্দোলনের পরেও বিতর্কিত ফলক এখনও সরায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলস্বরূপ বার্তায় আরও এক বার উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার এক্স-হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “গুরুদেবের আবাসস্থলে তাঁকেই ভুলে আত্মপ্রচারমূলক, অহঙ্কারী প্রচার চলছে বিশ্বভারতীতে। শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। কিন্তু, বর্তমানে সেখানকার প্রধান নিজের ছোট নামটা স্বীকৃতি-ফলকে জুড়ে দিয়েছেন।’’ মমতা আরও লিখেছেন, ‘‘ঈশ্বরের দোহাই, ওই ফলক সরিয়ে ফেলুন, যেখানে রবীন্দ্রনাথেরই নাম নেই! রবীন্দ্রনাথই এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মর্যাদা এবং নম্রতা দেখান!’’ একই সঙ্গে কেন্দ্রের কাছে তাঁর আর্জি, এই ‘চরম ভুল’ শুধরে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করুক দিল্লিতে ক্ষমতাসীন সরকার।

শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র ঘোষণা করার পর থেকে অভিযোগ উঠেছে, এই কাজের জন্য উপাচার্য নিজে কৃতিত্ব পেতে চাইছেন। স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্বভারতীতে যে ফলকগুলি বসানো হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্যের নাম থাকলেও রবীন্দ্রনাথের নেই। এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে মঞ্চ বেঁধে শান্তিনিকেতনে আন্দোলন হচ্ছে।

Advertisement

রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চিঠির ছত্রে ছত্রে মমতাকে আক্রমণ করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও কর্মীদের একাংশ বলছেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে চিঠি লিখে এমন আক্রমণ করা কোনও উপাচার্যের শোভা পায় না। তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।” মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement