কথা থামিয়ে হঠাৎই তাঁকে মমতা বলেন, ‘‘শশী লিস্টটা দাও তো’’। তার পরেই বলা শুরু করেন, ‘‘এই হল চোর ডাকাতদের লিস্ট।’’ নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই একই মঞ্চ থেকে বামেদেরও নিশানা করলেন তিনি। সম্প্রতি মমতার সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া ডিএ না মেটানোর অভিযোগ এনে লাগাতার বিক্ষোভ শুরু করেছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। মমতা সেই বিক্ষোভকারীদের সম্বোধন করলেন ‘চোর-ডাকাত’ বলে। মঞ্চে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘এরা সব চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল, সেই চোর-ডাকাতগুলোই গিয়ে বসে আছে ডিএ-র মঞ্চে।’’
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বামেরা সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিল তৃণমূলকে। পাল্টা মাস চারেক আগে মমতাও বলেছিলেন, ‘‘ওরা সব চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, তখন তো আমরা কিছু বলিনি! তখন অবশ্য রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলন এত বড় আকার নেয়নি। সম্প্রতি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বাম জমানায় চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। সেই আলোচনায় উঠে আসে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির বৈধতার প্রশ্নও। বুধবার মমতাকেও বলতে শোনা গেল একই কথা।
বুধবার রেড রোডে ধর্না মঞ্চে দিন শেষের বক্তৃতা দিচ্ছিলেন মমতা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিয়ে বেশ কিছু কথা বলার পরই কথায় কথায় হঠাৎ উঠে আসে ডিএ প্রসঙ্গ। মমতা হঠাৎই বলেন, ‘‘প্রতিদিন আপনারা এখানে গিয়ে এই চাই ওখানে গিয়ে এই দাও করছেন। সব চোর ডাকাতগুলো...’’
পাশেই বসেছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। কথা থামিয়ে হঠাৎই তাঁকে মমতা বলেন, ‘‘শশী লিস্টটা দাও তো’’। তার পরেই বলা শুরু করেন, ‘‘এই হল চোর ডাকাতদের লিস্ট। এমনিতে চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সেই চোর-ডাকাতগুলোর গিয়ে বসে আছে ডিএ-র মঞ্চে। তাদের কাছে আমাকে জ্ঞান শুনতে হবে?? জ্ঞানপাপীরা ... চোরেরা ডাকাতেরা ডাকাত সর্দাররা...’’। এর পরেই অবশ্য আবার বিজেপির কথা বলতে শুরু করেন মমতা।