গত বারের মতোই এ বারও মেঘালয় সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
আবার মেঘালয় বিধানসভা ভোটের প্রচারে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিক থাকলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শেষ হলেই শিলং যেতে পারেন তিনি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পর দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার কার্যনির্বাহী কমিটি বৈঠক করে বিধানসভা অধিবেশনের আগামী দিনের কাজকর্ম স্থির করবেন। সূত্রের খবর, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তার আগেই বাজেট অধিবেশন শেষ করতে চায় রাজ্য সরকার। তাই মনে করা হচ্ছে, আগামী ২১ কিংবা ২২ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন শেষ হতে পারে। তাই বাজেট অধিবেশনে নিজের দায়িত্ব পালন করেই মুখ্যমন্ত্রী মেঘালয়ে যেতে পারেন।
তবে নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করেই উত্তরবঙ্গে রওনা হবেন তিনি। পর দিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন। এক দিনের মেঘালয় সফরে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে ভোট প্রচার করবেন তিনি। সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভার ভোটের প্রচার সেরে বাংলায় ফিরেছেন মমতা। তার আগে ১৯ জানুয়ারি মেঘালয়ে এক দফা প্রচার সেরে এসেছেন তৃণমূলনেত্রী। ত্রিপুরার তুলনায় মেঘালয়ের নির্বাচনে অনেকটাই ভাল জায়গায় রয়েছে তৃণমূল।
৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভায় যেখানে মাত্র ২৮টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে তৃণমূল। সেখানে একই আসন সংখ্যা বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভায় ৫৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনীতির বৃত্তে থাকা ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আলোচনা, ত্রিপুরার তুলনায় মেঘালয়ে অনেকটাই ভাল ফল করবে বাংলার শাসকদল। তেমন ইঙ্গিত পেয়েই মেঘালয় তৃণমূল নেতৃত্ব মমতার কাছে ফের এক বার প্রচারে আসার আবেদন জানায়। বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মেঘালয়ের ভোটপ্রচারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। গত বারের মতোই এ বারও মেঘালয় সফরে তাঁর সঙ্গী হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় বিধানসভায় ভোট। তার আগে ২২ ফেব্রুয়ারি শিলং গিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে ঝড় তুলবেন মমতা, এমনটাই আশা তৃণমূল নেতৃত্বের। তাই ২১ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ থেকেই শিলং যাবেন তিনি। মেঘালয়ের ভোটপ্রচার শেষ করে আবার উত্তরবঙ্গেই ফিরে আসবেন। এই সফরে পাহাড়েও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিধানসভায় এসে সাক্ষাৎ করে গিয়েছেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর প্রশাসক অনিত থাপা। তাই মনে করা হচ্ছে, এ বারের উত্তরবঙ্গ সফরে দার্জিলিং গিয়ে সেখানেও বেশ কিছু ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।