মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —সংগৃহীত।
বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজয়া সম্মিলনী করছে তৃণমূল। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে। সেখানে নাম না করে মোদীকে নিশানা করার পাশাপাশি মমতা ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন।
সোমবার মমতা বলেন, ‘‘আমি নিজের নামে স্টেডিয়াম বানানই না। ট্রেন লাইন বানাই না। আমার পাবলিসিটি (প্রচার)-র প্রয়োজন নেই। মানুষের মতো বেঁচে থাকতে পারলেই হল।’’ নাম না-করলেও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় মমতার নিশানায় কে ছিলেন! আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়াম প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। ওই স্টেডিয়ামেই উদ্বোধনী ম্যাচ হয়েছে ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের। ফাইনালও হবে সেখানেই। অনেকের মতে, প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মপ্রচার’কে আক্রমণ করতে চেয়েছেন মমতা। মমতা আরও বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখেছে। যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের মজুরির সাত হাজার কোটি টাকাও আটকে রেখেছে। দিচ্ছে না।’’
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি অভিযান করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা না-করা, তা নিয়ে কৃষি ভবনে বিতণ্ডা, পুলিশি ধরপাকড়ের পর কলকাতায় ফিরে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু রাজ্যপাল না-থাকায় রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে ধর্না শুরু করেছিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। রাজ্যপালের ‘আশ্বাস’ পাওয়ার পর দলনেত্রী ও অন্য বর্ষীয়ান নেতাদের পরামর্শে পাঁচ দিন পর ধর্না তোলেন অভিষেক। সে দিন অবশ্য অভিষেক জানিয়েছিলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্র টাকা না-দিলে নভেম্বর থেকে মমতার নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর তৃণমূল বৈঠকও ডেকেছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। কিন্তু সে দিন ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থাকায় সেই কর্মসূচি পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর করা হয়েছে। ওই সভা থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা তৃণমূলনেত্রীর। তার আগে বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকেও বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন মমতা।