West Bengal Assembly Session

‘ধর্মে ভাগাভাগি করি না’! শুভেন্দুর সংখ্যালঘু-‘রাগ’ নিয়ে বিধানসভায় ঐক্যের দর্শন শোনালেন মমতা

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান বদলের ডাক দিয়ে দলের মধ্যে চাপে পড়েছিলেন। এ বার বাইরের চাপও বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:০০
Share:

(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। বিজেপির অন্দরেও তা ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সরাসরি শুভেন্দুর নাম না নিয়ে সোমবার বিধানসভায় ‘এক বিজেপি নেতা’ বলে খোঁচা দিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সমন্বয়ের বার্তাও দিলেন।

Advertisement

সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেখানে নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁকে সব কথা বলতে না দেওয়া থেকে শুরু করে ছিল বিজেপি নেতাদের মুখে বাংলা ভাগের দাবি প্রসঙ্গও। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য তাঁর সরকার কী কী করেছে, তারও বিবরণ দিতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই বক্তৃতার মাঝেই শুভেন্দুর সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘বিজেপির এক নেতা বলছেন, একে চাই, ওকে চাই না। মানুষই আপনাকে চাইবে না।’’ এর পরেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বিধানসভায় এসে দেখে যান, এখানে সব ধর্মের মানুষ বসে আছেন। আমরা ভাগাভাগি করি না।’’ উল্লেখ্য, তিনি যখন বিধানসভায় এ কথা বলছেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু। এমনকি, বিজেপির কোনও বিধায়কই বিধানসভার অধিবেশনে ছিলেন না। আগেই তিনি বাকি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ওয়াক আউট করেন।

নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার ‘মাইক বন্ধ করে দেওয়া’ অভিযোগে সোমবার বিধানসভায় নিন্দাপ্রস্তাব আনে তৃণমূল। নিন্দাপ্রস্তাবের উপরে আলোচনা চান তৃণমূলের বিধায়কেরা। কিন্তু আলোচনা শুরুর আগেই প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। তবে বিজেপি ওয়াক আউট করলেও আলোচনা চালিয়ে যায় শাসক শিবির।

Advertisement

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠকে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে থাকব। ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ বন্ধ করো।’’ একই সঙ্গে সংখ্যালঘু মোর্চার প্রয়োজন নেই বলেও সওয়াল করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর ওই বক্তব্য পেশ করার পরেই শোরগোল পড়ে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শুভেন্দুর বক্তব্যে দলের কোনও ‘অনুমোদন’ নেই। তৃণমূল শুভেন্দুর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে নিশানা করেছিল। এ বার মুখ্যমন্ত্রীও নিশানা করলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement