বণিকসভাকে টিকাকরণে এগিয়ে আসতে হবে, বলেছেন মমতা।
বণিকসভার কাছে করোনা ত্রাণে সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার জন্য সংস্থাগুলিকে আর্থিক অনুদান দিতে হবে না। নিজেদের কর্মীদেরই টিকা দিয়ে রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বণিকসভার ২৯টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক ছিল মমতার। নবান্ন সভাঘরে সেই বৈঠকে মমতা বললেন, ‘‘রাজ্য বা দেশের বিপর্যয়ে বণিকসভার একটা বড় ভূমিকা থাকে। আপনারা সেই ভূমিকা পালন করুন। নিজেদের কর্মীদের টিকা দিন। আপনাদেরই ওই টিকা কিনতে হবে। ধরে নিন ওই টিকা রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন আপনারা।’’
মূলত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউন নিয়েই বণিকসভার বৈঠকে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য প্রচুর করোনা টিকা কিনেছে। বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে সরকার। তবে কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা দিচ্ছে না। তাই এবার বণিকসভাকে টিকাকরণে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেই রাজ্যকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে তারা। তবে যদি টিকা কিনতে অসুবিধা হয়, তবে স্বাস্থ্যবিভাগ সাহায্য করবে। সংস্থাগুলি টিকার দাম দিলে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে টিকা কিনতে সাহায্য করবে সরকার।
ওই টিকা কী ভাবে সংগঠনগুলির মধ্যে বণ্টন করা হবে, তা নিয়েও একটি নির্দেশিকা দিয়েছেন মমতা। ১৫টি সংস্থা নিয়ে একটি কমন পুল বা ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্র গঠন করার কথা বলেছেন তিনি। মোট টিকা নিজেদের মধ্যে সুষ্ঠু ভাবে সরবরাহের দায়িত্ব নেবে এই কমন পুলই।
রাজ্যে কাদের টিকাকরণে গুরুত্ব দেওয়া হবে, সে ব্যাপারেও এ দিন বেশ কিছু ঘোষণা করেছেন মমতা। শ্রমিকদের টিকাকরণে গুরুত্বের কথা বলেছেন। চটকলের শ্রমিক, নির্মাণকর্মীদের টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আটাকল এবং চালকলের কর্মীদেরও বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ঘোষণা করলেন মমতা। সেই সঙ্গে জানালেন পরিচারিকাদেরও টিকা দেওয়া দরকার। এ ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। টিকা নিয়ে আর কী কী ঘোষণা করলেন, জেনে নিন—
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ