পরিবারের সদস্যদের দাবি, কয়েক দিন পর আসল ‘রহস্য’ জানা যায়। প্রতীকী ছবি।
গিয়েছিলেন নিজের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে। তবে পাত্রীর পাশে বসা হবু শাশুড়িকেই মন দিয়ে ফেললেন এক যুবক। হবু শাশুড়িও নাকি তাতে বাধা দেননি। মন দেওয়া-নেওয়ার পর্ব সেরে আর দেরি না করে সে রাতেই চুপি চুপি ঘর ছাড়লেন দু’জনে। পাত্রীর পরিবারের দাবি, দু’জনেই ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। তবে নিজের স্ত্রীকে ‘হারিয়ে’ তাঁর ছবি হাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলার স্বামী।
মালদহের গাজোল থানার করকচ পঞ্চায়েতের ইচাহার গ্রামের বাসিন্দার দাবি, দিন কয়েক ধরে বাড়ি থেকে উধাও তাঁর স্ত্রী। নানা জায়গায় খোঁজ করলেও তাঁর হদিস মিলছে না। অবশেষে স্ত্রীর নিখোঁজের অভিযোগ নিয়ে সোমবার গাজোল থানায় পৌঁছেছেন তিনি। থানায় অভিযোগপত্র লেখার সময় তাঁর সঙ্গে ছিল স্ত্রীর একখানি ছবি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিত্তে তল্লাশি শুরু করেছে তারা।
মহিলার স্বামী বলেন, ‘‘বাড়িতে বিবাহযোগ্যা মেয়ে রয়েছে। তার বিয়ের জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই ভাল পাত্রের খোঁজ করছি। ২৫ মার্চ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন গাজোলের এক যুবক। আমার বাড়িতে বসেই মেয়ের সঙ্গে দেখাশোনাও হয়।’’ তবে তার পর থেকেই স্ত্রী নিখোঁজ বলে দাবি। তাঁর কথায়, ‘‘সে দিন মেয়ের সঙ্গে কথাবার্তা সেরে যুবকটি চলে যাওয়ার পরেই আমার স্ত্রী বাজারে যাওয়ার অজুহাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি।’’ স্ত্রীর খোঁজে এর পর আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। ওই মহিলার পরিবারের সদস্যদের দাবি, কয়েক দিন পর আসল ‘রহস্য’ জানা যায়। তাঁরা জানতে পারেন, যে যুবকটি তাঁদের মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন, তাঁর সঙ্গেই ভিন্ রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন হবু শাশুড়ি। এবং ঘটনার কথা জানতে পেরে স্ত্রীকে ফিরে পেতে গাজোল থানার দারস্থ হয়েছেন তাঁর স্বামী।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘গাজোল থানায় স্ত্রী নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্করা স্বেচ্ছায় ঘর ছাড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।’’
পরিবারের দাবি, বিবাহযোগ্য মেয়ে-সহ ৩ সন্তানকে রেখে হবু জামাইয়ের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন হবু শাশুড়ি।