মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বাংলো খালি করার নোটিস দিয়েছিল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই) বৃহস্পতিবার সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করলেন মহুয়া। তাঁর পিটিশন গ্রহণ করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়ার্ধে বা শুক্রবার মহুয়ার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।
কারণ দর্শানোর নোটিস (শো-কজ়) পাঠানোর পরেও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া। গত মঙ্গলবার তাঁকে পত্রপাঠ বাংলো খালি করতে বলে কেন্দ্রের ডিওই। মঙ্গলবার ডিওই-এর তরফ থেকে এ কথা মহুয়াকে জানানো হয়। নোটিসে লেখা হয়, বাংলো খালি করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের রাস্তাতেও হাঁটা হতে পারে তারা। স্বভাবতই, প্রাক্তন সাংসদকে পাঠানো নোটিসের ভাষায় প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি মহুয়াকে বাংলোছাড়া করতে জবরদস্তির পথেও হাঁটতে পারে মোদী সরকার?
গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়। ৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মহুয়া তা করেননি। গত ৮ জানুয়ারি, কেন এখনও বাংলো খালি করেননি, তিন দিনের মধ্যে তা জানাতে বলে মহুয়াকে নোটিস পাঠায় ডিওই। তার পর আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, ডিওই-র কাছে মহুয়াকে আবেদন করতে হবে। তার মধ্যেই মঙ্গলবার ফের নোটিস যায় মহুয়ার কাছে। যাকে চ্যালেঞ্জ করে আবার আদালতে গেলেন মহুয়া।