আক্রান্ত যুবক শাহরুফ হালদার।
দু’-দু’বার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। কারণ, ট্রেনে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে গলা মেলাতে অস্বীকার করায় ট্রেনে আক্রান্ত মাদ্রাসা-শিক্ষক শাহরুফ হালদার আক্রমণকারীদের শনাক্ত করতে রাজি নন।
পুলিশ জানায়, শাহরুফের উপরে হামলার ঘটনায় ধৃতদের চিনিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে দু’বার ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও তিনি আসেননি। এ বার শনাক্তকরণের জন্য আদালতের নির্দেশ নিয়ে শাহরুফকে ডেকে পাঠানো হতে পারে। অভিযুক্তদের চিনিয়ে দিতে পুলিশের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না কেন? ‘‘ভয় পাচ্ছি। টাকাপয়সা, ধনসম্পত্তির মালিক তো নই। খাটতে হবে,
খেতে হবে। চলন্ত ট্রেনে যে-আক্রমণ হয়েছিল, তার পরে আমি বেঁচে ফিরে এসেছি, সেটাই বড় কথা,’’ বললেন শাহরুফ।
বাসন্তীর চুনাখালির বাসিন্দা বছর কুড়ির শাহরুফ গত ২০ জুন তাঁর কর্মস্থল আরামবাগের মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ট্রেনে হামলার শিকার হন। অভিযোগ, এক দল যুবক তাঁর পোশাক ও ধর্মবিশ্বাস নিয়ে বিদ্রুপ করে এবং তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে চাপাচাপি করে। ওই শিক্ষক রাজি না-হওয়ায় তাঁকে মারধর করে পার্ক সার্কাস স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। রেল পুলিশ সেই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করে। রেল পুলিশ সুপার (শিয়ালদহ ডিভিশন) অশেষ বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে ধৃতেরা এখন জেল হেফাজতে।
তাঁর কথায়, ‘‘অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য অভিযোগকারীকে দু’বার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। আরও এক বার ডাকা হবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনে হামলার ওই ঘটনায় বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাই শাহরুফ ধৃতদের শনাক্ত না-করলেও মামলার কোনও ক্ষতি হবে না। এই বিষয়ে শাহরুফের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে বলে জানান এক পুলিশ আধিকারিক।