শান্তিনিকেতনের রাস্তায় গাইবেন মদন, বাজাবেন শিলাজিৎ। ফাইল চিত্র
সব ঠিকঠাক চললে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাঙালি দেখতে পাবেন মদন-শিলাজিৎ যুগলবন্দি।
ঠিক যেন, মদন গায়েন, শিলাজিৎ বায়েন।
না কোনও ছবির চিত্রনাট্য নয়। একটি গানের ভিডিয়োয় ধরা দেবেন মদন-শিলাজিৎ। রাজনীতির ময়দানের বহু পুরনো খেলোয়াড় কামারহাটির বিধায়ক। আর বাংলা গানের জগতে '৯০-এর দশক থেকে শিলাজিৎ এক পরিচিত নাম। দু’জন দুই মেরুর মানুষ হলেও, গানের টানেই আসবেন কাছাকাছি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গায়ক হিসেবে হাজির থাকছেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। ভবানীপুরের অফিসে আসছে গায়ক মদনকে পেতে অগণিত অনুরোধ। কিন্তু এ বার আর একক নয়, একেবারে নামজাদা শিল্পীর সঙ্গেই গলা মেলাবেন এই রাজনীতিক।
অবশ্য কোনও মঞ্চ বেঁধে শিলাজিতের সঙ্গে গাইবেন না তিনি। বরং রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতনের মেঠো রাস্তায় নেমে শিলাজিতের সঙ্গীতের তালে গলা মেলাবেন মদন। তাঁর এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বেশি কিছু বলতে চাইছেন না কামারহাটির বিধায়ক। অল্প কথায় বলছেন, ‘‘শিলাজিতের সঙ্গে দু’বার বসা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে, ও বাজাবে আমি গাইব। আরও কয়েকটি বৈঠক করেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে। শুধু এটুকু বলতে পারি, শান্তিনিকেতনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে আমি গান গাইব। আর শিলাজিৎ বাজাবে।’’ মদনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, মদন-শিলাজিতের এই উদ্যোগকে নতুন মাত্রা দিতে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে প্রোডাকশনে।
অন্য দিকে, মদনের সঙ্গে জুটি বাঁধার অপেক্ষায় শিলাজিৎও। তাঁর কথায়, ‘‘মদনদা একজন রিয়াল এন্টারটেনার, মানুষ পছন্দ করে ওঁকে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মদনদার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁকে জানিয়েছিলাম, আমি তাঁকে নিয়ে একটা গান বেঁধেছি। তখনই কথা বলতে বলতে মদনদা বললেন আমি বীরভূমে যাব, গিয়ে গান গাইব। তাতে আমি বলেছি, চলো, তুমি-আমি মিলে একসঙ্গেই গাইব। মদনদা গান গাইলে তাঁকে নিয়ে আমাকে ট্রেনিংয়ে বসতে হবে। মদনদা এমনিতেই সব গান জানে। যে হেতু চর্চা কম, তাই সুর একটু কম লাগে। মদনদা প্রাণ থেকে গায়। বাকিটা আমি ম্যানেজ করে নেব।’’
শিলাজিতের নিজের গ্রাম বীরভূমের গড়গরিয়া। গায়ক নিজের উদ্যোগেই বেশ কিছু সমাজকল্যাণমূলক কাজ করেন সেখানে। গানের এই সফরে সেই গ্রামেও মদনকে নিয়ে যেতে চান তিনি। আর সেখানেও হতে পারে মদন-শিলাজিতের গানের যুগলবন্দি। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন গায়ক।