বিএসএফ-এর ছাউনিতে বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি-র পরিষদীয় দল। নিজস্ব চিত্র।
নিউটাউনে বিএসএফের দফতরে গিয়ে তাদের হাতে পদ্মফুল তুলে দিয়ে মিষ্টি খাওয়ালেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়কও।
বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে তেতে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বুধবারই বিধানসভায় পাশ হয় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় আনা প্রস্তাব। বৃহস্পতিবার বিএসএফের দফতরে গিয়ে তাদের মিষ্টি খাইয়ে, হাতে পদ্মফুল তুলে দিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউটাউনের বিএসএফ ছাউনিতে হাজির হয় বিজেপি-র পরিষদীয় দল। নেতৃত্বে শুভেন্দু। জওয়ানদের সংবর্ধনা জানানোর পর তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত বিএসএফ দেশের অতন্দ্র প্রহরী। তারা দেশের সীমান্ত রক্ষা করছে বলেই দেশবাসী সুরক্ষিত এবং নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারছেন। ভারত সরকারের ঘোষণা মতো বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল বিধায়করা তাদের কালিমালিপ্ত করেছেন, কদর্য ভাষায় বিধানসভায় আক্রমণ করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই বিএসএফকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।’’
অন্য দিকে, এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শুভেন্দুদের সংবর্ধনার পর তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে টুইট করেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, ‘বিএসএফ-কে আমরা কতটা সম্মান করি, তা বোঝাতে আমাদের পদ্মফুল তুলে দেওয়া কিংবা রাজনৈতিক ভাষণ দিতে হয় না। বিরোধী দলনেতা, এটা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। আপনি মনে হয় একে ‘বিজেপি সিকিউরিটি ফোর্স’ ভেবে বসেছেন!’ বিএসএফ-এর কার্যালয়ে গিয়ে কী ভাবে রাজনৈতিক ভাষণ দেওয়া যায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। ২ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলের টুইটের পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে বিএসএফ-কে নিয়ে তৃণমূলে মনোভাবের মধ্যে ‘দেশদ্রোহ’ খুঁজে পেয়েছেন শুভেন্দু।
এর আগে বিএসএফ নিয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে অপর্ণা সেনকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে বিএসএফ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চড়ছে উত্তেজনার পারদ।