কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটে জোট না-ও হতে পারে। ফাইল চিত্র
আদালত ছাড়পত্র দিলে আগামী ১৯ ডিসেম্বর হতে পারে পুরভোট। প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পথে তৃণমূল। সেভাবে প্রস্ততি না থাকলেও পুরভোটের কমিটি গড়ে দিয়েছে বিজেপি। এর মধ্যেই বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোটে ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখনও আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও বিধানভবনের একটি বড় অংশ জোট করে লড়াইয়ের পক্ষপাতী। কিন্তু তাতে বাধ সাধছে আসন রফা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, জেলার নেতারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অবস্থান মেনে নেবে তাঁর দল। একই মত মুজফ্ফর আহমেদ ভবনের। দু’পক্ষই চাইছে বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দিতে।
আর এই শর্তেই পুরভোটে জোট ভেস্তে যেতে পারে বলেই সূত্রের খবর।কারণ, বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমকে সমস্ত শরিক দলের জন্য আসন ছাড়তে হবে। ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআইয়ের মতো শরিকরা আসনের দাবি নিয়ে এখনই দরবার শুরু করেছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কাছে। অন্য দিকে, কংগ্রেস আবার কলকাতার পুরভোটে বেশি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিতে চাইছে। এমতাবস্থায় ইচ্ছে থাকলেও দু’পক্ষই এ বারের পুরভোটকে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক যাচাই করতেই পৃথক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সিপিএমের এক নেতার কথায়, ‘‘একবার ভোটে জোট না হলে যে কংগ্রেসের সঙ্গে আগামী দিনে আবার জোট হবে না, এমনটা নয়। যদি কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটে যদি কোনও কারণে জোট না হয়। তাহলেও আগামীদিনে জোটের দরজা খোলাই থাকবে।’’ আর দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের স্পষ্ট কথা, ‘‘পুরভোটে আমরা আমাদের কর্মীদের বঞ্চিত করতে চাই না। তাই দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার অধীনে যে ৩৬টি ওয়ার্ড রয়েছে, তার সবক’টিতেই আমরা প্রার্থী দিতে চাই। আর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যখন লড়াই হবে, তখন লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট পাল্টে যাবে। সে ক্ষেত্রে জোট নিয়ে ফের আলোচনা সম্ভব। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কর্মীদের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে থেকে বঞ্চিত করা উচিত হবে না।’’ তাই চলতি বিধানসভা ভোটে পরস্পরের হাত ধরে লড়াই করা বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস আবারও পৃথকভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে পারে শীঘ্রই।