রেলের জমিতেই সভা হবে মোদীর

এর পরে মাটিগাড়ার পাথরঘাটাতেও সভা করতে উদ্যোগী হয় বিজেপি। জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় ওই এলাকাতেও যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০৩:০১
Share:

—ফাইল চিত্র।

বেশ কয়েক দিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল। শুক্রবার সন্ধেয় শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতারা জানালেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩ এপ্রিল শিলিগুড়ির অম্বিকানগরেই সভা করবেন।

Advertisement

তবে এই মাঠটি বিজেপির প্রথম পছন্দের মধ্যে ছিল না। বিজেপি প্রথম থেকে চেয়েছিল, মাটিগাড়ার কাওয়াখালিতে সভা করতে। সেখানে জমিটি বড়। যাতায়াতেরও সুবিধা রয়েছে। পাশেই সিআরপিএফের দফতর। সেখানে হেলিকপ্টার নামার ব্যবস্থাও রয়েছে। জমিটি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদ বা এসজেডিএ-র হাতে রয়েছে। এসডেজিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘ওই মাঠে নির্মাণ কাজ চলার জন্য আমরা অনুমতি দিতে পারিনি।’’ বিজেপির উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন বসুর বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার ইচ্ছা করে আমাদের হেনস্থা করেছে। মাটিগাড়ার কাওয়াখালি উপনগরীর জমিটি খালি থাকলেও নানা অজুহাতে তা দেওয়া হচ্ছে না।’’

এর পরে মাটিগাড়ার পাথরঘাটাতেও সভা করতে উদ্যোগী হয় বিজেপি। জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় ওই এলাকাতেও যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু পরে পিছিয়ে আসে বিজেপি। বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, ‘‘জমিটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। সেখানে সভা করতে অনুমতি লাগবে। কিন্তু যদি চাপ দিয়ে কেউ অনুমতিপত্র দিতে বারণ করেন, তা হলে আমরা শেষ মুহূর্তে বিপদে পড়ব।’’ তাই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জমিই দেখা শুরু হয়। তাতেই উঠে আসে অম্বিকানগর ও রেল ইন্সটিটিউটের একটি মাঠ। রেল ইন্সটিটিউটের মাঠটি ছোট। তাই শেষ পর্যন্ত অম্বিকানগরের মাঠটিই চূড়ান্ত হয়েছে। কেননা, তার পাশেই হেলিকপ্টার নামার মতো ছোট একটি মাঠও রয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এই মাঠটি ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক তৃণমূলের গৌতম দেবের খাসতালুক। গৌতম বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে অনেক নেতাই এখন আসবে। বিজেপির প্রার্থীও তো দিল্লি থেকেই এসেছে। আমরা আমাদের প্রচার নিয়েই ব্যস্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement