প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ থামছে না বিজেপির।‘থিম সঙ’-এর বাণী পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল সিইও দফতর। শুক্রবার তার জেরে সিইও দফতরের অধীন মি়ডিয়া সার্টিফিকেশন ও মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি) ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ করল বিজেপি। সিইও দফতর অবশ্য এই অভিযোগকে আদৌ আমল দিতে রাজি নয়।
রাজ্য বিজেপির থিম সঙের বাণী খতিয়ে দেখে সিইও দফতরের অধীন এমসিএমসি সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। শুক্রবার সিইও দফতরে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। হাজির হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এমসিএমসি পক্ষপাতদুষ্ট।’’ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান, এমসিএমসি বলেছে ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি’ লেখা যাবে না। কিন্তু কোন দিদির কথা বলা হয়েছে? ‘পুলিশ তোমার ডিএ বাকি’। এটা নিয়ে এমসিএমসি বলেছে, ‘আনভেরিফায়েড’।
আদালতই মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বিষয়ে বলেছে। কী কারণে এই শব্দগুলি কাটা হল, তা তাঁদের জানাতে হবে বলে দাবি তুলেছে বিজেপি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জয়প্রকাশবাবু বলেন, ‘‘এখানে সবই হচ্ছে অনুমানের ভিত্তিতে। আমরা জানতে চাইব, কেন কাটা হল। কোথাও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়নি। চ্যালেঞ্জ করছি।’’
পক্ষপাতের অভিযোগকে উড়িয়ে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু জানান, কারও মুখ দেখে নয়। নির্বাচনী আচরণবিধি দেখেই কাজ করছে এমসিএমসি। ‘‘পক্ষপাতের কোনও সুযোগই নেই। নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করা হচ্ছে,’’ বলেন এমসিএমসি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয়বাবু। তিনি জানান, কারও কিছুতে আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারেন। আজ, শনিবার থিম সঙের বিষয়ে পুনরায় আবেদন করতে পারে রাজ্য বিজেপি। সিইও দফতর ‘মূক ও বধির’ বলে কয়েক দিন আগেই আক্রমণ হেনেছিল তারা।
১০ মার্চ, ভোট ঘোষণার দিন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে ১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ন’কোটিরও বেশি টাকার গয়না। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি ভোট পর্বে রাজ্যে আর্থিক লেনদেন কোনও ভাবে বাড়ছে? জবাবে সিইও আরিজ আফতাব বলেন, ‘‘সব বিষয়ই বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।’’