‘মর্যাদা’ আগে, বামেদের দিক থেকে হাত সরাল কংগ্রেস

রাজ্যে তারা একাই লড়াই করবে, সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেসের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৩:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

শেষ পর্যন্ত দলের ‘সম্মান রক্ষা’র কারণ দেখিয়ে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা থেকে সরে এল প্রদেশ কংগ্রেস। তাদের সিদ্ধান্ত, রাজ্যে তারা একাই লড়াই করবে। তাদের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় সিপিএম তথা বামফ্রন্টও নিজেদের মতো লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে ২০১৪ সালের মতো এ বারও বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই হবে। এবং তার জেরে তৃণমূল ও বিজেপির যে কিছু সুবিধা হবে, তা-ও অস্বীকার করছেন না প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠকে শনিবারই বামেদের সঙ্গে জোট করার বিরুদ্ধে প্রবল সওয়াল করেছিলেন দীপা দাশমুন্সি, আব্দুল মান্নান, শঙ্কর মালাকারেরা। সেই কমিটিই রবিবার ফের বৈঠকে বসে বামেদের দিক থেকে ‘হাত’ সরিয়ে নেওয়ার যুক্তি দেখিয়ে তিন পাতার লম্বা বিবৃতি তৈরি করেছে। সেখানে আসন ছাড়তে সিপিএম এবং বামফ্রন্ট শরিকদের ‘অনড় মনোভাব’কেই জোট ভেস্তে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে। জোট বাঁধতে সিপিএমের ‘সদিচ্ছার অভাব’ ছিল বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে কংগ্রেসের সামনে এখন বড় মাথাব্যথা ৪২ আসনে লড়ার জন্য ‘যোগ্য প্রার্থী’ খুঁজে পাওয়া! আপাতত প্রথম তিন দফায় যে ১০টি আসনে ভোট, তার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে এ দিন বেশি রাতে দিল্লি গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও বিরোধী দলনেতা মান্নান। দিল্লিতে আজ, সোমবার কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় স্ক্রিনিং কমিটি ও নির্বাচন কমিটির (সিইসি) বৈঠকে অনুমোদিত হলে ওই ১০ আসনের তালিকা ঘোষণা হয়ে যাবে। প্রথম তালিকায় বর্তমান দুই সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ছাড়াও দীপা, শঙ্কর, ঈশা খান চৌধুরী, সুখবিলাস বর্মা, ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌরভ প্রসাদদের নাম আছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সোমেনবাবু এ দিন বলেছেন, ‘‘অনেক আলাপ-আলোচনা বামেদের সঙ্গে হয়েছে। তার পরে প্রদেশ নির্বাচন কমিটিতে সকলে যা মত দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে ঠিক হয়েছে, দলের মর্যাদার সঙ্গে আপস করে কোনও জোটে আমরা যাব না। রাহুল গাঁধী আমাদের বলেছিলেন, দলের মর্যাদা বাঁচাতে গিয়ে একটাও আসন যদি না জোটে, তা হলেও কোনও অসুবিধা নেই।’’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এআইসিসি-র ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ সোমেনবাবুকে ফোন করে ৪২ প্রার্থীর নাম ঠিক করতে বলেন। কিন্তু এতে কি তৃণমূল ও বিজেপির সুবিধা হবে না? সোমেনবাবুর জবাব, ‘‘সুবিধা হতেই পারে। কিন্তু সেটা তো আমার একার সমস্যা নয়!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement