রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলে আর মাদক পরীক্ষা নয়

সব জেলার পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি কমিশনার ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট-সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্তৃপক্ষকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোল অধিকর্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুধু ওষুধপত্র যাচাই নয়, মাদকও পরীক্ষা করা হত রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে। কিন্তু প্রশিক্ষিত কর্মী আর পরিকাঠামোর এতটাই অভাব যে, সেখানকার মাদকের নমুনা পরীক্ষা করার ইউনিটটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কলকাতার কনভেন্ট রোডে ওই ল্যাবরেটরিতে ১ অগস্ট থেকে কোনও রকম মাদক বা তার নমুনা আর পরীক্ষা করা হচ্ছে না।

Advertisement

সব জেলার পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি কমিশনার ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট-সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্তৃপক্ষকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোল অধিকর্তা। আর কোনও মাদকের নমুনা যাতে ওই ল্যাবরেটরিতে পাঠানো না-হয়, সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে ওই ল্যাবরেটরিতে মাদকের যে-সব
নমুনা পড়ে রয়েছে, সেগুলো ফেরত নিয়ে যাওয়ার কথাও চিঠিতে লিখেছেন অধিকর্তা।

কিন্তু এত দিন মাদক পরীক্ষা করার পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হল কেন?

Advertisement

ড্রাগ কন্ট্রোল রিসার্চ ল্যাবরেটরির অধিকর্তা তাঁর ৩১ জুলাইয়ের চিঠিতে লিখেছেন, প্রথমত পর্যাপ্ত সংখ্যায় প্রশিক্ষিত কেমিস্ট নেই। সেই সঙ্গে অন্যান্য পরিকাঠামোগত সমস্যায় নিরুপায় হয়েই মাদক পরীক্ষার ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে যাবতীয় ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার পাশাপাশি এনডিপিএস আইন অনুযায়ী সেখানে মাদকও পরীক্ষা করা হত। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ মাদক ধরলেই তার নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হত এই সরকারি ল্যাবরেটরিতে। সেই নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতেন ল্যাব-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিকাঠামোর সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠায় দীর্ঘদিনের সেই ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগটি স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। তাই স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়েই মাদক পরীক্ষার ইউনিট বন্ধ করা হয়েছে।

ওই ল্যাবরেটরির এক শীর্ষ কর্তা জানান, ১৯৯৬ থেকে তাঁদের প্রতিষ্ঠানে মাদক পরীক্ষা করা হচ্ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ করে হেরোইন, চরস এবং গাঁজার নমুনা পাঠানো হত পরীক্ষার জন্য। বছরে এক হাজারেরও বেশি মাদকের নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া হত। সেই পরীক্ষা আর হবে না। কেননা যাঁরা মাদক পরীক্ষা করতেন, তাঁরা ঠিকার ভিত্তিতে। সেই সব কর্মী অন্য জায়গায় চাকরি পেয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ওই ইউনিট বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement