সরকার বদলের ডাক
Left-front

ছাত্র-যুবদের নিয়ে নবান্ন অভিযানে বাম

চাকরির প্রতীকী দরখাস্ত নিয়ে বাম যুবদের গত বারের নবান্ন অভিযান রক্তাক্ত হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫২
Share:

—ফাইল চিত্র

বিধানসভা ভোটের আগে ফের নবান্ন অভিযানের ডাক দিল বামেরা। যুব ও ছাত্র সংগঠনকে সামনে রেখে শিক্ষা ও কাজের দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ওই অভিযানের ডাক দেওয়া হলেও নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ভাবে কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা রাখাই যে এ বারের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য, নবান্ন অভিযানের স্লোগান থেকেই তা পরিষ্কার।

Advertisement

‘শিক্ষা দাও, কাজ দাও, হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ১০টি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন। জোটসঙ্গী কংগ্রেসের দুই শাখা সংগঠন ছাত্র পরিষদ ও যুব কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এই অভিযানে। অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কাছেও আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছেন বাম যুব ও ছাত্র নেতৃত্ব। তাঁদের আগাম দাবি, ১১ ফেব্রুয়ারি কলকাতা অবরুদ্ধ হবে নবান্নমুখী জনস্রোতে!

চাকরির প্রতীকী দরখাস্ত নিয়ে বাম যুবদের গত বারের নবান্ন অভিযান রক্তাক্ত হয়েছিল। হাওড়ায় পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ও জল-কামান চলেছিল ছাত্র-যুবদের উপরে। এ বার জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে কলেজ স্ট্রিটে। সেখান থেকে এম জি রোড ধরে হাওড়া সেতু পেরিয়ে নবান্নের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। বাম যুব নেতাদের বক্তব্য, ফের পুলিশ দিয়ে প্রশাসনের সংঘাতের পথে গেলে যা ঘটবে, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

Advertisement

বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলির তরফে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র শনিবার বলেছেন, ‘‘আমরা এ বার নবান্ন যাব তৃণমূলের সরকারকে রিলিজ অর্ডার ধরাতে! আর তৃণমূলের বাজে শেয়ার কিনে বিজেপি যে কোম্পানি খোলার চেষ্টা করছে, সেটা বাংলায় চলবে না, সেটাও বুঝিয়ে দেব।’’ তাঁদের দাবি, গোটা দেশে নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শিল্পের জন্য কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করতে পারেনি। তৃণমূল বা বিজেপি, কারও কাছেই আর কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু আশা করা অর্থহীন। বরং, সরকার বদলে বাংলায় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে ফের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের রাস্তা খুলবে। সেই লক্ষ্যে নবান্ন অভিযানের পাশাপাশি তাঁরা কিছু ‘প্রতীকী শিলান্যাস’ও করবেন।

বাম যুব নেতৃত্বের অভিযোগ, গোটা দেশে কর্মসঙ্কোচনের পথে গিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসার জন্য বিজেপি চাকরি দেওয়ার ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ দিচ্ছে। আবার অন্য দিকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই এ বার নবান্ন অভিযান শুরুর আগে জমায়েতের জন্য কলেজ স্ট্রিটকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের পীঠস্থান। সায়নদীপদের দাবি, চাকরি বা কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু বলার নৈতিক অধিকারই নেই বিজেপির!

অভিযান ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাম যুব ও ছাত্রেরা। সায়নদীপ বলেন, ‘‘জনতার আদালতে এই রাজ্য সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। পুলিশ-প্রশাসনের যাঁরা আমাদের বাধা দেবেন, তাঁদের বাঁচানোর জন্য কিন্তু আর সরকার আসবে না! আমাদের আটকানোর আগে এটা মনে রাখবেন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement