Protest

বামেদের পুরসভা অভিযানে ধস্তাধস্তি

এন্টালি মার্কেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, দেবেশ দাস, ফৈয়াজ আহমেদ খান, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ-সহ বামফ্রন্টের জেলা নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৪
Share:

বামফ্রন্টের কলকাতা পুরসভা অভিযান ও ধস্তাধস্তি। — নিজস্ব চিত্র।

গার্ডেনরিচ-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার বামেদের পুরসভা অভিযানে উত্তেজনা ছড়াল রাজপথে। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ফের এক বার সামনে চলে এসেছে কলকাতা পুর-এলাকায় বেআইনি নির্মাণের রোগ। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে স্থানীয় পুর-প্রতিনিধি এবং শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকার দিকে। বিরোধীরা মেয়রের পদত্যাগও দাবি করেছিল। সেই ঘটনায় কলকাতা পুরসভার গাফিলতির অভিযোগ তুলে এবং মেয়র, মেয়র পারিষদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায় নিতে হবে, এই দাবিতে এ দিন পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। এন্টালি মার্কেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, দেবেশ দাস, ফৈয়াজ আহমেদ খান, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ-সহ বামফ্রন্টের জেলা নেতারা। মিছিল মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে কলকাতা পুরসভার দিকে এগোচ্ছিল। নিউ মার্কেট থানার বেশ কিছুটা আগে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। পুলিশের বাধা টপকে বাম নেতা-কর্মীরা পুরসভার দিকে এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।

Advertisement

সিপিএমের জেলা সম্পাদক কল্লোলের বক্তব্য, ‘‘কলকাতা পুর-এলাকা যে ভাবে বেআইনি নির্মাণের ঊর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, গার্ডেনরিচের ঘটনা তা আরও এক বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। পুরসভা যাঁরা পরিচালনা করছেন, তাঁরা ইঞ্জিনিয়ার, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং কিছু আধিকারিকের উপরে দোষ চাপিয়ে নিজেদের কৃতকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এর বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই চলবে, প্রয়োজনে আদালতেও লড়াই হবে।’’ বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, নকশা অনুমোদন করে নির্মাণের পরে তার জায়গা মাপ করে তাকে প্রথমে বেআইনি ঘোষণা করে পরে সেখান থেকে টাকা নিয়ে তাকে আইনি ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এই অসাধু চক্রের ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement