বামপন্থী বিশিষ্টদের ডাকে নাগরিক মিছিল
রাজ্যে নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির প্রতিবাদে পথে নামলেন বামপন্থী বিশিষ্ট জনেরা। ধর্মতলার কাছে ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে মেয়ো রোড হয়ে গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত সোমবার নাগরিক মিছিলে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতোই। দুর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি এবং যোগ্য চাকরি-প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে ওই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন চন্দন সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, বিমল চক্রবর্তী, দেবদূত ঘোষ, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়-সহ শিল্প, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আইন জগতের নানা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক পতাকাহীন মিছিলের পিছনে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী-সহ বাম নেতাদের অনেকেই।
বিশিষ্টদের দাবি, রাজ্যে ২০১১ সালের পর থেকে নিয়োগ ঘিরে যত বেনিয়ম ও দুর্নীতির অবিযোগ উঠেছে, সে সবের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে এবং মেধা-তালিকাভুক্ত নিয়োগ-প্রার্থীদের চাকরি দিতে হবে। গান্ধীমূর্তির কাছে অবস্থানরত শিক্ষক-প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে সংহতিও জানিয়েছেন তাঁরা। সামাজিক স্তরে এমন প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার ডাকও দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী-সাংসদ বিকাশবাবু বলেন, ‘‘শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখিয়ে সব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে হবে না। সব চোরেদের ধরতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ বিশিষ্টদের ডাকা এই নাগরিক মিছিলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছিল বামফ্রন্ট। মিছিলের পরে আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, ‘‘স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিশিষ্ট জনেরা প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন। সংগঠিত কোনও মিছিল ছিল না। নাগরিক মিছিলে মানুষ যে ভাবে সাড়া দিয়েছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’ দুর্নীতির গোটা চক্র ধরার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে পুলিশের অনুমতি না নিয়েই পথে নামা হবে বলেও ফের জানিয়েছেন সেলিম। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘প্রতিবাদ যে কেউ করতেই পারেন। কিন্তু যে বিরোধীরা এখন রাস্তায় নামছেন, অন্যত্র বা অন্য সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সে সবের জবাব দিয়ে তার পরে কথা বললেই ভাল হয়!’’