রাজ্য়সভায় বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
চার আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন রবিবার। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘোষণা হল রাজ্যসভায় বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী। জোটের প্রার্থী হচ্ছেন আইনজীবী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূলের চার প্রার্থীর মধ্যে তিন জনই গত লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে হেরেছিলেন। কার্যত সেই পথেই হেঁটে লোকসভা ভোটে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে পরাজিত বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেই প্রার্থী করল বাম-কংগ্রেসও।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন অনুপম হাজরা। তাঁদের বিরুদ্ধে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জিতবেন বলেই আশা করেছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটের নেতারা। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল— পাঁচ বছর সামলেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়রের দায়িত্ব। পেশাগত ভাবে আইনজীবী হলেও বাম রাজনীতির সঙ্গে ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর যোগ। সেই বিকাশকেই রাজ্যসভায় নিয়ে যেতে চাইছে রাজ্যের বিরোধী জোট।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, তাদের প্রথম পছন্দের প্রার্থী ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু বামেদের পক্ষ থেকে বিকাশের নাম পাঠানো হয় সিপিএম পলিটব্যুরোতে। পলিটব্যুরোও বিকাশের নামেই সিলমোহর দেয়। এর পর বিকাশের নাম কংগ্রেসকে জানানোর পর কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে আপত্তি করেনি। দলীয় নেতৃত্বের একটি সূত্রে খবর, বিকাশের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এআইসিসি-কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২ এপ্রিল মেয়াদ ফুরোচ্ছে রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় মনোনীত পাঁচ সাংসদের। তাঁরা হলেন কে ডি সিংহ, মণীশ গুপ্ত, ইমরান আহমেদ হাসান, যোগেন চৌধুরী এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই পাঁচ আসনের ভোট হবে ২৬ মার্চ সকাল ন’টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। মনোনয়ন জমা দিতে হবে ১৩ মার্চের মধ্যে। স্ক্রুটিনি ১৬ মার্চ।
আরও পড়ুন: নীরব মোদীদের মতোই পরিকল্পনা ছিল! টোপ দিয়ে দেশে আনা হয়েছিল রাণা কপূরকে
আরও পড়ুন: ‘নির্লজ্জ!’ হোর্ডিং কাণ্ডে আদালতে মুখ পুড়ল যোগী সরকারের
এই পাঁচ আসনের মধ্যে তৃণমূলের চারটি আসনে জয় নিশ্চিত। পঞ্চম আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারে এমন জল্পনাও রয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৫২। সেই হিসেবে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও বিকাশের জয় কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।