আইনজীবী বিকাশের মনে হয়েছে, শুধু অভিষেক মামলা থেকেই সরেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা নয়, শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মামলাটিই (ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত) কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবারের শুনানি পর্ব শুনে এমনটাই মনে করছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
সেই সঙ্গে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা না পড়ে সঠিক ভাবে বলতে পারব না।’’ প্রসঙ্গত, কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর চলতি মাসেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তাঁকে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য ‘চাপ’ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে আদালতকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি, হেস্টিংস থানায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও জানান কুন্তল। অন্য দিকে, কুন্তলের বক্তব্যের আগের দিনই শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক কিছুটা একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে তাঁর নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
পর পর এই দু’টি ঘটনা প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, কুন্তলের চিঠির মামলায় প্রয়োজনে অভিষেককেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক।