Kuntal Ghosh on Nabajoar Yatra

‘ভারতের যুবরাজ...’, নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন শুনে একটিই বাক্যে উত্তর দিলেন কুন্তল

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পরেই অবশ্য তৃণমূল তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু দল তাঁকে ছেঁটে ফেললেও দলের সঙ্গে কুন্তল সম্পর্ক খারাপ করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১২:২৫
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার প্রশংসায় কুন্তল ঘোষ। ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গেল। আদালতের পথে আবার মুখ খুললেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। কুন্তলকে এ বার তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাতেই অভিষেকের কর্মকাণ্ডকে স্বল্প কথায় প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি।

Advertisement

শুক্রবার কুন্তলকে আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁর সঙ্গে হাজিরা দেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত নীলাদ্রি ঘোষ, তাপস মণ্ডলরাও। আদালতে ঢোকার মুখে গাড়ি থেকে নামার সময় কুন্তলকে বরাবরের মতো ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘‘অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে আপনি কী বলবেন?’’

প্রশ্ন শুনে দাঁড়িয়ে যান কুন্তল। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের যুবরাজের যাত্রায় জনজোয়ার।’’ এই একটি বাক্যই অভিষেকের প্রশংসায় খরচ করেন কুন্তল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ‘ভারতের যুবরাজ’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে কুন্তলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার পরেই অবশ্য তৃণমূল তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু দল তাঁকে ছেঁটে ফেললেও দলের সঙ্গে কুন্তল সম্পর্ক খারাপ করেননি। বিশেষ করে অভিষেককে নিয়ে এর আগেও অনেক বার তাঁকে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে।

এই কুন্তলই অভিযোগ করেন, সিবিআই এবং ইডি তাঁকে জেরার মুখে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে। অভিযোগ জানিয়ে তিনি নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন। পুলিশের হস্তক্ষেপ চেয়ে সেই চিঠি দেওয়া হয় হেস্টিংস থানাতেও। কুন্তলের সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন। বিচারের দায়িত্বে আসেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। তাঁর বেঞ্চে মামলায় অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement