মমতার সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া শত্রুঘ্নের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বলপূর্বক ধর্মান্তরণ, ইসলামের আগ্রাসন, লভ জিহাদ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবি নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। বিতর্কের সেই জল গড়িয়েছে আদালতেও। তবে ছবি মুক্তির উপর তার প্রভাব তেমন পড়েনি। ৫ মে নির্ধারিত দিনেই মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। অন্য দিকে মুক্তির চার দিন পর পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয় এই ছবিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে শান্তি, সৌহার্দ্য, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর উল্টো চিত্রটাও রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যে করমুক্ত করা হয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনুরাগ কাশ্যপ থেকে শাবানা আজমির মতো তারকারা। এ বার মমতার এই সিদ্ধান্তে বাক্স্বাধীনতার পক্ষ নিলেন অভিনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘আমি বাক্স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।’’
পাশাপাশি তিনিও এটাও জানান, এখনও পর্যন্ত এই ছবি দেখার সময় করে উঠতে পারেননি। এমনকি মেয়ে সোনাক্ষীর ওয়েব সিরিজ ‘দাহার’ দেখার সময়টুকু নেই। শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘একটা কথাই বলব, আমি সব সময়ই স্বাধীনচেতা মনোভাব নিয়ে কাজ করার পক্ষে। আমার মনেপ্রাণে বিশ্বাস যে প্রতিটি মানুষের বাক্স্বাধীনতা রয়েছে। তবে, যদি কোনও ছবি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, তা হলে প্রশাসকেরও সেই ছবির স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার রয়েছে।’’
তবে শত্রুঘ্ন ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেনকে কটাক্ষ করেই বলেন, ‘‘স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ছবি বানানো যেতেই পারে। সে ক্ষেত্রে নির্মাণের ক্ষেত্রে আর একটু যত্নশীল হতে হবে। কিন্তু যে সময় তৈরি করা হল তাতে খানিকটা সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আমার মনে হয় আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বনানো।’’
তবে সব পক্ষকে সমান তুষ্ট করেছেন আসানসোলের সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘আমি যত দূর জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত খোলা মনের মানুষ। যদি সত্যি তিনি মনে করে থাকেন এই ছবি রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে, তা হলে তাঁর যথেষ্ট সঙ্গত কারণ রয়েছে ছবিটি নিষিদ্ধ করার।’’