ছবি: সংগৃহীত
করোনা-সংক্রমণের উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিধাননগর পুর এলাকার আরও এক বাসিন্দাকে। তিনি থাকেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছেন সমস্ত গলির মুখ। পাশাপাশি, ওই পাড়া জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালাচ্ছে পুর প্রশাসন।
শুক্রবার সল্টলেকের বাসিন্দা, ৩৯ বছরের ওই যুবককে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাঁর এলাকা পরিদর্শনে আসেন বিধাননগরের মহকুমাশাসক সৈকত চক্রবর্তী। এলাকা ঘুরে দেখার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি। স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। বাসিন্দারা নিজেরাই বিভিন্ন গলিপথ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের খাবার থেকে যে কোনও সমস্যা হলে প্রশাসন সহযোগিতা করবে।
ওই যুবকের পরিবার সূত্রের খবর, তিনি কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের কাছে এক চিকিৎসকের কাছেও গিয়েছিলেন। ওই চিকিৎসক ওষুধ দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু তিন দিনেও জ্বর কমেনি। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওই যুবককে প্রথমে ইএসআই, পরে সেখান থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক আত্মীয় জানান, জ্বর ও বুকে ব্যথা ছিল ওই যুবকের। আইডি থেকে তাঁকে এম আর বাঙুরে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানের সময়ে বিধি মানায় জোর পুলিশের
অসুস্থ যুবক একটি হোটেলে কাজ করেন। যে আত্মীয় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান, তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। স্থানীয় পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের আপাতত বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে পুর প্রশাসনের। কারণ, ওই ঘিঞ্জি এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। তার উপরে দিন দুই আগেই বিধাননগরের তিন নম্বর সেক্টর এলাকায় একটি ব্লকের এক বাসিন্দাকে করোনার উপসর্গ-সহ ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সেই ব্যক্তির করোনা-পজ়িটিভ ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে সেই বাড়ির আশপাশের কিছু রাস্তা আটকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালাচ্ছে পুরসভা।
এর আগে গত এক মাসে চার জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিল পুরসভা। এখনও পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় মোট ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় গত দু’দিনে পৃথক দু’টি এলাকা থেকে দুই ব্যক্তির অসুস্থতা ঘিরে চিন্তা বাড়ছে পুর প্রশাসনের। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখনও কোনও রিপোর্ট মেলেনি। তবে চিন্তা রয়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রয়োজনীয় সব রকমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহে জোর দেওয়া হচ্ছে।