প্রতীকী ছবি।
ভোরে নমাজ পড়ে ফেরার সময়ে এক যুবকের নজরে পড়েছিল, চারতলা আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন তিনি। এলাকার বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে দোতলার ওই বন্ধ ফ্ল্যাটের সামনে এসে কিছু করতে না পেরে দমকল ও পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে তখনও আগুন জ্বলছে। পুড়ছে আসবাবপত্র। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকার ২৯৩, জিটি রোডের ঠিকানায়।
দু’টি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টায় আগুন নিভিয়ে দেখে, পুড়ে যাওয়া খাটের নীচে কম্বল জড়ানো এক যুবকের দেহ পড়ে। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর একত্রিশের ওই
ব্যক্তির নাম সৈয়দ আবু জায়েদ। তিনি ওয়াকফ বোর্ডে চাকরি করতেন। বর্ধমানের বাসিন্দা ওই যুবক স্ত্রী ও চার বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দিল্লি বেড়াতে যাওয়া নিয়ে কয়েক দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল তাঁর। শুক্রবার তা চরমে পৌঁছলে সৈয়দের শ্বশুর বাড়ির লোক এসে তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে চলে যান। সিলিং ফ্যানে আধপোড়া কাপড় ঝুলতে দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই যুবক প্রথমে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সম্ভবত পরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন।