East West Metro

পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের শেষ পর্বের কাজ শুরু ইস্ট-ওয়েস্টে

সামনে আরও ৭০০ মিটার পথ, যা অতিক্রম করলেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পথে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ‘উর্বী’ আপাতত শিয়ালদহের জর্জ টেলিগ্রাফ ভবনের কাছাকাছি রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২১ ০৭:২২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ নির্মাণের অন্তিম পর্বের কাজ শুরু করেছে টানেল বোরিং মেশিন (টি বি এম) ‘উর্বী’। এক মাসেরও কিছু বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে দিন দুয়েক আগে বৌবাজার অভিমুখে ফের সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু হয়েছে। সামনে আরও ৭০০ মিটার পথ, যা অতিক্রম করলেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পথে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ‘উর্বী’ আপাতত শিয়ালদহের জর্জ টেলিগ্রাফ ভবনের কাছাকাছি রয়েছে।

Advertisement

গত অক্টোবর মাসে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে শিয়ালদহে টি বি এম ‘উর্বী’কে মাটির নীচ থেকে তুলে আনা হয়। তার পরে সেটিকে ফের পাশের সুড়ঙ্গে স্থাপন করে জানুয়ারি মাসে বৌবাজার অভিমুখে খননের কাজ শুরু হয়। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ‘উর্বী’ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে শিয়ালদহ উড়ালপুল বা বিদ্যাপতি সেতু অতিক্রম করে। স্টেশন থেকে ওই সেতুর দূরত্ব ১০০ মিটারেরও কম। ফলে সুড়ঙ্গ খনন শুরু করার প্রথম পর্বে প্রায় ৭০-৮০ মিটার দীর্ঘ টি বি এম-কে তার স্বাভাবিক পূর্ণাঙ্গ চেহারায় ব্যবহার করা যায়নি। মূল যন্ত্রটিকে খুব সতর্কতার সঙ্গে ধীরে ধীরে এগিয়ে এনে প্রায় ১০০ মিটার সুড়ঙ্গ খনন করা হয় জানুয়ারি মাস জুড়ে। ওই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে ধাপে ধাপে টি বি এমের অন্য অংশগুলি যুক্ত করা হয়। পূর্ণাঙ্গ চেহারার টি বি এমে বিভিন্ন আনুষঙ্গিক যন্ত্র থাকে। ওই সব যন্ত্র যোগ করলে টি বি এমের দৈর্ঘ্য অনেকটা বেড়ে যায়। ফলে মাটির চরিত্র অনুযায়ী সুড়ঙ্গ খননের গতি বাড়ানো সহজ হয়।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকর্তাদের আশা, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাসের মধ্যে ৭০০ মিটার সুড়ঙ্গ খননের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, বৌবাজারে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে দুর্ঘটনার কারণে আটকে থাকা টি বি এম ‘চণ্ডী’কে উদ্ধারের প্রক্রিয়াও চলছে। প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ ও ২০ মিটার প্রশস্ত গর্ত খুঁড়ে ওই টি বি এম-টিকে বার করা হবে। সুড়ঙ্গ নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে দু’টি টি বি এম-কেই বৌবাজার থেকে তুলে আনা হবে। পরে ওই গর্তের অংশে উপর থেকে কংক্রিটের ছাদ নির্মাণ করে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হবে। এর ফলে শিয়ালদহের দিক থেকে আসা সুড়ঙ্গ সরাসরি হাওড়ার দিকের সুড়ঙ্গের সঙ্গে জুড়ে যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement