প্রতীকী ছবি
বাজারে বিস্তর দেনা। অথচ ধার মেটানোর টাকা নেই। সুইসাইড নোটে এমনটা লিখে পঞ্চসায়রে একসঙ্গে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন মা ও ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর ৫১-র এক মহিলা একটি বাড়িতে তাঁর ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। বুধবার মহিলার সঙ্গে তাঁর মা এবং দিদি ফোনে অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মহিলা ফোন ধরেননি। এমনকি তাঁর বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করার পরেও মহিলা দরজা খোলেননি। শেষে মহিলার প্রতিবেশীদের সাহায্যে তাঁর পরিজনেরা দুপুর দেড়টা নাগাদ পঞ্চসায়র থানায় খবর দেন।
মহিলার প্রতিবেশীরা জানান, পুলিশ মহিলার বাড়ি পৌঁছে বারবার কলিং বেল বাজায়। পুলিশ জানায়, সেই সময়ে মহিলার ছেলে কোনও রকমে এসে দরজা খুলে দেন। তিনি আচ্ছন্ন ছিলেন। অন্য দিকে, ঘরের মেঝেয় অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন বছর ৫১-র ওই মহিলা। দু’জনকেই উদ্ধার করে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। পরে সেখান থেকে দু’জনকেই এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলেকে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রাতেই ছেড়ে দেন। তবে মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ জানায়।
ছেলের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা বলার পরে পুলিশের দাবি, ছেলে কোনও কাজ করেন না। বছর ছয়েক আগে তাঁর বাবা মারা যান। বাবা সরকারি চাকরি করতেন। মহিলা পেনশন পান। কিন্তু সেই টাকায় তাঁদের দু’জনের চলে না। তার জেরে বাজারে প্রচুর দেনা রয়েছে তাঁদের। পুলিশ জানায়, সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, মহিলার থেকে হাজারখানেক টাকা পান তাঁর মা। এমনকি পরিচারিকার কাছেও আটশো টাকা ধার রয়েছে। দেনার জেরেই তাঁরা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা করেন বলে মহিলার সঙ্গে কথা বলে জেনেছে পুলিশ। দু’জনেই ইঁদুর মারার বিষের সঙ্গে প্রায় ৩০টি করে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে দাবি পুলিশের।