প্রতীকী ছবি।
খাবারে বিষ মিশিয়ে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ঘিরে শনিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বর। বিষ মেশানো খাবার খাইয়ে লিলুয়ার বাসিন্দা পিঙ্কি অধিকারী (২২) নামে ওই তরুণীকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করেছেন বলে অভিযোগ তুলে হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিজনেরা। অভিযোগ, মৃতার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের উপরে চড়াও হন তাঁরা। যার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি বেধে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরই মধ্যে চম্পট দেন মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তরুণীর দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ লিলুয়ায় ওই তরুণীর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর বাবা দেবাশিস অধিকারীকে ফোন করে জানানো হয়, মেয়ে অসুস্থ হয়ে কোনা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে গিয়ে পিঙ্কির বাবা-মা মেয়েকে দেখতে না পেয়ে লিলুয়া থানায় ফোন করেন। তার পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে এসে দেখেন, মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সালকিয়ার বাসিন্দা পিঙ্কি খুব অল্প বয়সে বাড়ির অমতে লিলুয়ার জগদীশপুরের কয়ালপাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্করকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি সাত বছরের ছেলে রয়েছে। এ দিন হাওড়া হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে দেবাশিসবাবু অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন শুভঙ্কর। পোশাকের ব্যবসায়ী শুভঙ্কর রোজই মদ খেয়ে এসে স্ত্রীকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। এ ব্যাপারে পিঙ্কির পরিবারের তরফে একাধিক বার লিলুয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর বাবার। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই ওরা পিঙ্কিকে খুনের চেষ্টা করছিল। এ দিন খাবারে বিষ মিশিয়ে ওকে খুন করা হয়েছে।’’ মৃতার স্বামী শুভঙ্কর অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ সব মিথ্যা অভিযোগ। ও আত্মহত্যা করেছে।’’ পুলিশ খুনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।