প্রতি দিন জনজোয়ার শব্দ তোলে কলকাতায়। কিন্তু আচমকা ধাক্কায় এখন থমকে গিয়েছে তিলোত্তমা। করোনা মোকাবিলায় টানা লকডাউন চলছে দেশে। স্তব্ধ কলকাতাও। এক সময়ে যে শহরে রোজ ঢেউ উঠত, সেখানেই এখন পা ফেলতে সতর্ক মানুষ। খাঁ খাঁ করছে রাস্তা। বিলকুল বদলে গেছে কলকাতা। শহরের এক সময় কোলাহলে ভরে ওঠা এলাকায় এখন দিব্যি শোনা যাচ্ছে পাখির ডাক। কেমন লাগছে আপনার ‘অচেনা শহর’কে। দেখে নিন ফোটো অ্যালবাম।
শহরের এ পার-ও পার জুড়ে দিয়েছে ইএম বাইপাস। এখন অবশ্য রোজকার ব্যস্ততা নেই। এক সময়ের প্রাণচঞ্চল, গতিশীল রাস্তা এখন শুয়ে আছে নিষ্প্রাণ হয়ে। গতির দৌড় নেই, ধোঁয়া-ধুলো নেই। এখন কদাচিত দেখা মেলে যানবাহনের। লকডাউনের অবসরে বাইপাস এখন যেন বিশ্রাম নিচ্ছে।
শিয়ালদহ মানেই প্রচণ্ড ভিড়! এই ছবি দেখে তা কে বলবে? রাস্তার ধারে সারবন্দি হয়ে এখন বিশ্রাম নিচ্ছে হাতে টানা রিকশা।
হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে কোলাহল তৈরি হত বউবাজারে। এত দিনের চেনা অভ্যাস সে যেন এ বার বদলে ফেলেছে।
বিশ্রাম নিচ্ছে রোজকার ব্যস্ত চাঁদনি চকও। অপেক্ষায় রয়েছে, আবার কখন রাজপথ জেগে উঠবে মানুষের পায়ের শব্দে।
কলকাতার সঙ্গে জেলাকে জুড়েছে হাওড়া স্টেশন ও হাওড়া ব্রিজ। রোজ সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমত। সেই সেতু বা লাগোয়া ব্রেবোর্ন রোড শুনশান এই লকডাউনে।
আলো জ্বলছে। অপেক্ষায় রয়েছে রাজপথ। কিন্তু লকডাউনে এখন স্তব্ধ কলকাতার এক সময়ের ব্যস্ততম এলাকা ডালহৌসি।
এই সেই ১৩ চৌরঙ্গী রোড। গ্র্যান্ড হোটেলের ঠিকানা। এখন খাঁ খাঁ করছে সেই চত্বর। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল
লকডাউনে একই চেহারা হয়েছে ধর্মতলা মোড়েরও। প্রতি দিনের ব্যস্ততা এখন আর নেই। ধু ধু করা রাস্তায় এখন খেলা আর খেলা।
রোজ হাজার হাজার পায়ের শব্দ ওঠে এখানে। আপাতত তা নেই। কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা টেলিফোন ভবন চত্বরও এখন নিষ্প্রাণ।
রাস্তার ক্রসিংয়ে সিগন্যাল লাল বা সবুজ হচ্ছে আপনাআপনি। কিন্তু জনমানব প্রায় নেই বললেই চলে। এখন বিশ্রাম নিচ্ছে এসএসকেএম চত্বরও। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল।
কলকাতার প্রতীক, আকাশে দু’হাত ছড়িয়ে অপেক্ষা করে থাকে ভিক্টোরিয়ার পরী। রোজ রোজ জন সমাগমই এখানকার অভ্যাস। কিন্তু এখন যে সিঁটিয়ে গিয়েছে ভিক্টোরিয়া চত্বর। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল
চায়ের কাপে তুফান নেই। প্রতি দিনের ব্যস্ত জাতীয় গ্রন্থাগার চত্বরের পরিস্থিতিও এখন কলকাতার অন্যান্য জায়গার মতোই নির্জন। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল।
কলকাতা মানেই চিড়িয়াখানা। হাজার আনন্দ-মজা সেখানে অপেক্ষা করে থাকে। লকডাউনের জেরে সেই চিড়িয়াখানার দরজাতেও এখন তালা। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল।
রোজ প্রাণজাগা বেহালা ১৪ নম্বরেও এখন গাড়ির চাকার শব্দ নেই। জনমানব কম। ছবি: সোমনাথ মণ্ডল