সোমবার থেকেই একের পর বিশ্ববিদ্যালয় ‘হঠাৎ পরিদর্শনে’ যাচ্ছেন রাজ্যপাল। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
রাজভবন থেকে ‘মিড-ডে মিল’ আসবে— প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মুখে মুখে এখন শোনা যাচ্ছে কথাটা। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসিডেন্সিতে আচমকা হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়েই এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। এমনকি রাজভবনের তরফে বিশেষ দিনে বিশেষ ভোজে নিমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার থেকেই একের পর বিশ্ববিদ্যালয় ‘হঠাৎ পরিদর্শনে’ যাচ্ছেন রাজ্যপাল। যিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যও। সোমবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বুধবার বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনের পর বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সিতে এসেছিলেন তিনি। সর্বত্রই অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের কথাও শুনছেন আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সিতেও তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলেন। সেই সাক্ষাতেই প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের এই ভোজের প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যপাল।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের রাজ্যপাল বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখে রাজভবনের তরফে আপনাদের নিমন্ত্রণ রইল। অনুষ্ঠানটি রাজভবনেও হতে পারে, আবার আপনাদের হস্টেলের লনেও হতে পারে।’’ তবে এখানেই থামেননি রাজ্যপাল। আনন্দ বোস আরও একটি ভোজ-প্রস্তাব এনেছেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের জন্য। বলেছেন, ‘‘মাসে এক দিন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের হস্টেলে এক বেলার খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজভবন।’’ নিয়মিত খাওয়াদাওয়ার এই ব্যবস্থাকেই ‘মিড-ডে মিল’ বলছেন কিছু কিছু পড়ুয়া। কারণ, রাজ্যের স্কুলগুলিতে এই একই নামের প্রকল্পে নিয়মিত পড়ুয়াদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে রাজ্যপালের প্রস্তাব তাদের মতো সপ্তাহে ছ’দিনের নয়। মাসে এক দিনের।
বৃহস্পতিবার যখন রাজ্যপাল প্রেসিডেন্সিতে পৌঁছন, তখন সেখানে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ চলছিল। পরে ছাত্র নির্বাচন-সহ একাধিক বিষয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ডেপুটেশন জমা দেওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সাক্ষাতে রাজ্যপালকে খাবার এবং পানীয় জলের অসুবিধার কথাও জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। তারই জবাবে বাংলা নববর্ষের ওই বিশেষ আমন্ত্রণ এবং মাসে এক দিন এক বেলার খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রাজভবন থেকে করার প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যপাল। যদিও রাজ্যপালের এই ঘোষণা শুনে পড়ুয়াদের একাংশের প্রশ্ন, বাকি সাড়ে ২৯ দিন (যে হেতু এক দিন এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজভবনের তরফে) তাঁরা কি সেই খাবারই খাবেন, যা নিয়ে তাঁদের এত অভিযোগ!