সইফ আলি খানের বান্দ্রার বাড়ি থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে, ঠাণে জেলায় খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মূল অভিযুক্তের। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের প্রথম সারির তারকা দম্পতির বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা, বাধা পেয়ে অভিনেতার উপর প্রাণঘাতী হামলা— বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারা দেশ উত্তাল। মুম্বই শহরের অভিজাততম বান্দ্রা এলাকায় এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। ঘটনার পর থেকে কোনও ভাবেই খোঁজ মিলছিল না মূল অভিযুক্তের।
রবিবার ভোরে অবশ্য মুম্বই পুলিশ দাবি করে, সইফ আলি খানের বান্দ্রার বাড়ি থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে, ঠাণে জেলায় খোঁজ পাওয়া গিয়েছে মূল অভিযুক্তের। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ। গত প্রায় পাঁচ-ছ’মাস ধরে কাজ করছেন নানা এলাকায়।
কী ভাবে খোঁজ মিলল শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ নামে বছর ত্রিশের ওই সন্দেহভাজনের? জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি মুম্বই মেট্রো রেলের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক বসতিতে থাকছিলেন। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার সদস্য এবং স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে দাদর রেলস্টেশনের বাইরে তিন বার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পাশাপাশি ওরলি কলিওয়াড়ায়ও গিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে। সেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে এক ঠিকাদারের অফিসে। প্রায় শতাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ তাঁকে চিহ্নিত করে। ওই ঠিকাদারে কাছে কাজের জন্যই গিয়েছিলেন শরিফুল। পরে পুলিশের কাছে ঠিকাদারই তাঁর গতিবিধির হদিস দেন। তার ভিত্তিতেই ঠাণে এলাকার শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শ্রমিক বসতি ঠাণের ম্যানগ্রোভ এলাকায় অবস্থিত। তেমনই এক জঙ্গল এলাকায় নিজেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন শরিফুল। তবে এখানেই প্রথম নয়। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে ঠাণের একাধিক হোটেলে কাজ করেছেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর অপরাধমূলক কাজের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল স্বীকার করেছেন হাতে কাজ নেই বলেই চুরির সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন
তিনি। তবে কোনও ভাবেই জানতেন না কার বাড়ি ঢুকছেন চুরি করতে। সিঁড়ি ভেঙে এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের নালির সাহায্যে উপরে ওঠেন তিনি। শরিফুল দাবি করেছেন, সে রাতেই
প্রথম ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন তিনি।
মুম্বই পুলিশের (অপরাধ দমন) ডিসিপি দীক্ষিত গেদম আগেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “ধৃতের থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ কোনও নথি পাওয়া যায়নি। তাই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হতেও পারেন। বুধবার রাতে সম্ভবত চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি।”